বড়লেখা প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ইলেক্ট্রিশিয়ানের সহকারীর কাজে নিয়ে হতদরিদ্র এক কিশোরকে দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ধর্ষক রাসেল আহমদ (২২) ও তার সহযোগী কয়ছর আহমদকে গ্রেফতার করেছে। রাসেল উপজেলার সুজাউল গ্রামের রুনু মিয়ার ছেলে ও কয়ছর উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সায়পুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
থানা পুলিশ ও ভিকটিম কিশোরের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, আসামী কয়ছর আহমদ ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করে। বোরবার সন্ধ্যায় সে ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে সহকারী হিসেবে এক জায়গায় কাজে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম কিশোর ২০০ টাকা পারিশ্রমিকের আশায় কয়ছরের সাথে কাজে যায়। কয়ছর আহমদ তাকে প্রধান আসামী লম্পট রাসেল আহমদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ভিকটিমকে বলে ‘তুমি তার সাথে যাও, সে কাজ করাবে। পরে একটি নির্যন স্থানে নিয়ে দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এঘটনায় নির্যাতিত কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং বাড়ির লোকজনকে ঘটনাটি জানায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে সোমবার রাতে ভিকটিম কিশোরের বাবা ধর্ষক রাসেল আহমদ ও তার সহযোগী কয়ছর আহমদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। রাতেই শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর রবিউল হকের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।
বড়লেখা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, মামলা দায়েরের পরই পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কিশোর ধর্ষণ মামলার দুই আসামীকেই গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply