বড়লেখা প্রতিনিধি::
বড়লেখায় রাজমিস্ত্রী রুবেল আহমদ হত্যা মামলার ৩ আসামীকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। নিহত রুবেল আহমদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেছরীগুল গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে। চলিত বছরের ৮ এপ্রিল আসামীরা নির্মমভাবে তাকে খুন করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক রুবেল হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামী সাবকে ইউপি সদস্য সরফ উদ্দিন নবাবের ৩ দিনের, তার ভাই তিন নম্বর আসামী আবু হোসেনের ২ দিনের ও আট নম্বর আসামী আব্দুল মতিনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরে আদেশ দিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা আদালত থেকেই আসামীদের থানায় নিয়ে গেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার কেছরীগুল গ্রামের মৃত ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে রাজমিস্ত্রী রুবেল আহমদ হত্যাকান্ডের ৮ মাস পর গত ৪ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে যান সাবেক ইউপি মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাব, তার ভাই আবু হোসেন ও সহযোগী মতিন আহমদ। গত মঙ্গলবার এই মামলার দশ নম্বর আসামী আব্দুল শুকুর জামিন নিতে গেলে মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার তাকে কারাগারে পাঠান।
চলিত বছরের ৮ এপ্রিল জুম্মার নামাজের পর কেছরীগুল জামে মসজিদে ইমাম নিয়ে আসামী শরফ উদ্দিন নবাব ও গ্রামের মুরব্বি জামাল উদ্দিনের ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। আছরের নামাজের পর সাবেক ইউপি মেম্বার শরফ উদ্দিন নবাব, তার ভাই ইউপি মেম্বার সাবুল আহমদ (পলাতক), আবু হোসেন, সাইফুল ইসলাম, দুলাল হোসেন, শরফ উদিন নবারের ছেলে ইমন আহমদ, সালমান আহমদ প্রমুখ জামাল উদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে রুবেল আহমদকে আসামীরা রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করে।
এঘটনায় নিহতের ছোটভাই ফয়ছল আহমদ ইউপি মেম্বার সাবুল আহমদকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ১৫-১৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে থানায় হত্যা মামলা করেন।
আদালত পুলিশের জিআরও এএসআই পিযুষ কান্তি দাস জানান, বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে কারাগার থেকে আসামীদের আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় আদালত থেকেই আসামীদের থানায় পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply