বড়লেখা প্রতিনিধি::
বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক একটি চুরির মামলার রায়ে একমাত্র আসামীকে সংশোধনের সুযোগ দিতে বাড়িতে থেকে সাজাভোগের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তে প্রবেশনে পাঠানোর আদেশ দেন। কিন্তু ওই আসামী প্রবেশন আদেশ অমান্য করায় গত মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) আদালত তার প্রবেশন আদেশ বাতিল করেছেন। একই সাথে আদালত ওই আসামীর বিরুদ্ধে (মুল সাজা) ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, আনদায়ে দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগের সাজা পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি চুরির মামলার একমাত্র আসামী উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামের বদরুল মিয়ার ছেলে হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রমাণিত হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর ওই মামলার রায় ঘোষিত হয়। বিভিন্ন দিক বিবেচনায় আদালত আসামীকে মুল সাজা না দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিতে বাড়িতে থেকে সাজাভোগের জন্য দুই বছর সুনির্দিষ্ট শর্তে প্রবেশনে পাঠানোর আদেশ দেন। রায় ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে আসামীকে আদালতে বন্ড দাখিল ও ৩ দিনের মধ্যে রায়ের ফটোকপি নিয়ে প্রবেশন কর্মকর্তাদের নিকট উপস্থিতসহ আরো কিছু শর্ত প্রদান করা হয়। কিন্তু আসামী হাসান মিয়া প্রবেশনের সকল শর্তই ভঙ্গ করেছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইকরাম হোসেন জানান, শর্ত ভঙ্গের কারণে বিজ্ঞ আদালত আসামী হাসান মিয়ার প্রবেশন আদেশ বাতিল করে মুল সাজাভোগের আদেশ জারি করেছেন। তার বিরুদ্ধে দ্রুত সাজাপরোয়ানা ইস্যুরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Leave a Reply