অদম্য মেধাবি : কুলাউড়ার নিশাত জিপিএ ৫ পেয়েছে প্রাইভেট পড়িয়ে – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ ছাতকের ইউএনও’কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ফুলবাড়ীতে বিজিবি’র অভিযানে মাদকদ্রব্য ও ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার সহকারি শিক্ষকদের সাটডাউন- বড়লেখায় কক্ষের তালা ভেঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ালেন অভিভাবকরা কুলাউড়ার মুরইছড়া  সীমান্তে  ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের গুলিতে  যুবক নিহত কুলাউড়ায় নাগরিক সমন্বয় প্রকল্পের বার্ষিক টাউন হল মিটিং কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলতে হবে- ইউএনও মহিউদ্দিন

অদম্য মেধাবি : কুলাউড়ার নিশাত জিপিএ ৫ পেয়েছে প্রাইভেট পড়িয়ে

  • শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

Manual2 Ad Code

এইবেলা, কুলাউড়া :: কুলাউড়া উপজেলার লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়ে চমক দেখিয়েছে দরিদ্র পরিবারের সন্তান নিশাত আক্তার (১৮)। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী দরিদ্র বাবার পক্ষে নিশাতের পড়ালেখা চালানো সম্ভব হচ্ছিলো না ঠিক তখনই সে পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং নিজের পড়ালেখা চালিয়েছে। তাঁর এই ফলাফলের পিছনে বাবা- মা ছাড়াও স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ভূমিকা ছিল অনেক। দরিদ্রতার সাথে নানা লড়াই করে সে আজ সফল হয়েছে।

উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের গুতুমপুর গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর মোঃ হান্নান মিয়া ও গৃহিণী নাজমা বেগমের দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে নিশাত সবার বড়। নিশাত জানায়, প্রতিদিন সে গড়ে ৮-৯ ঘন্টা পড়ালেখা করতো। অভাব-অনটনের সংসারে টাকার জন্য কোনদিন প্রাইভেট পর্যন্তও পড়েনি। পরিবারের বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় তাঁর এই সাফল্য এসেছে। প্রাইমারী থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করতে তাকে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে। পড়াশোনা নিয়মিত চালিয়ে যাবার জন্য সে টিউশনি করেছে। টিউশনি থেকে যে টাকা পেত সেটা দিয়ে তার পড়ালেখা ও পরিবারের জীবিকা নির্বাহে বাবাকে সহযোগিতা করতো। বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কলেজ থাকায় সে নিয়মিত পায়ে হেঁটে কলেজ যেত। নিশাত আরো জানায়, আমি এখন আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চাই। সমাজের অবহেলিত মানুষের জন্য একটা কিছু করতে চাই। আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।

Manual4 Ad Code

নিশাতের বাবা দিনমজুর হান্নান মিয়া জানান, দিনমজুরের কাজ করে কোনমতে সংসার চালাই। পরিবারের আর্থিক অবস্থা একদম শোচনীয়। পৈত্রিক সাড়ে তিন শতক জমির ওপর আমার ছোট্ট এই কুঁড়েঘরে তিন মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছি। যখন যে কাজ পাই তখন সেটা করি। আমার মেয়ের ইচ্ছে, সে আইন বিষয়ে পড়তে চায়। কিন্তু বাবা হিসেবে আমি তার উচ্চশিক্ষার জন্য এত টাকা খরচ করা সম্ভব হচ্ছে না। #

Manual6 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!