বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে নাঈম আহমদ (২৪) নামক এক কাতার প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মিজানুর রহমান (২৫) নামে আরেক প্রবাসীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১২ মার্চ) রাত সাড়ে সাতটার দিকে বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঠালতলী বাজারের সোনার বাংলা ফিলিং স্টেশনের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অটোরিকশার চালক পালিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত অটোরিকশাটি জব্দ করেছে।
নিহত নাঈম উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির শিমুলয়া গ্রামের মৃত হোছন আহমদের ছেলে এবং আহত মিজানুর একই গ্রামের মৃত শহীদুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় ও হতাহতদের স্বজনরা জানান, নাঈম ও মিজানুর দীর্ঘদিন ধরে কাতারে ছিলেন। নাঈম সেখানে একটি কাপড়ের দোকানের কাজ করেন এবং মিজানুর একটি কোম্পানীতে কাজ করেন। সম্প্রতি তারা দু’জন ছুটিতে দেশে এসেছেন। রোববার রাত সাড়ে সাতটায় নাঈম ও মিজানুর কাঠালতলী বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বড়লেখা সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঠালতলী বাজারের সোনার বাংলা ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে নাঈম ও মিজানুর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকে সিলেটে ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রোগীর স্বজনরা সিলেট আল-হারামাইন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাঈমকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত মিজানুরকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত মিজানুর রহমানের চাচাতো ভাই জাবেদ আহমদ বলেন, চিকিৎসকরা জানান, মিজানুর মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছে। বাম হাতেও সে আঘাত পেয়েছে।
বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত আটটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। তবে গাড়িটির চালককে পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় আহত দু’জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন।##
Leave a Reply