বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখায় প্রভাবশালীরা প্রকাশ্যে ও গাছ চোররা রাতের আধারে কেটে নিচ্ছে রাস্তার পাশের বিভিন্ন প্রজাতির সরকারী গাছ। শুক্রবার সকালে প্রকাশ্যে উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের গোদাম বাজার এলাকার রাস্তার পার্শের চারটি গাছ কেটে ফেলেন রুনি বেগম নামের প্রভাবশালী এক নারী। তিনি গ্রামের মৃত তফজ্জুল আলী মেয়ে। বিকেলে তিনি ট্রাকযোগে কাটা গাছ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন। অবৈধভাবে সরকারী গাছ কাটা বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে রেঞ্জ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিলেন ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ।
সরেজমিনে জানা গেছে, বড়লেখার পাখিয়ালা-হাকালুকি পর্যটন কেন্দ্র এলজিইডি সড়কের হাল্লা নামক স্থানের একটি বড় রেইনট্রি গাছ বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়েছে। যার মূল্য ২০-২৫ হাজার টাকা হবে বলে জানা গেছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে এলাকার লোকজন জানান, স্থানীয় জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, জুবের আহমদ গাছটি কেটে নিয়েছে। এই চক্র আগেও এই রাস্তার অনেক সরকারী গাছ চুরি করেছে।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে প্রকাশ্যে বর্নি ইউনিয়নের গোদাম বাজার এলাকায় কয়েকজন শ্রমিককে এলজিইডি রাস্তার পার্শের চারটি করই গাছ অবৈধভাবে কাটতে দেখা যায়। দুইটি গাছ কেটে মাটি ফেলে খন্ড করা সম্পন্ন হলেও আরো দুইটি গাছের ডালপালা কেটে গুঁড়ি কাটার প্রস্তুতি চলতে দেখা যায়। শ্রমিকরা জানায়, পাশের বাড়ির রুনি বেগম তাদেরকে দিয়ে গাছগুলো কাটাচ্ছেন। এই চারটি গাছের মূল্য ৫০ হাজার টাকা হবে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর প্রতিনিধি সিরাজ উদ্দিন কাটা দুইটি গাছের টুকরোগুলো না সরাতে ও অপর দুইটি গাছ না কাটতে বলে যান। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার পর বিকেলের দিকে প্রভাবশালী রুনি বেগম ট্রাকযোগে কাটা গাছের টুকরোগুলো সরিয়ে ফেলেছেন।
এব্যাপারে রুনি বেগম জানান, গাছগুলো তার বাড়ির সামনের এবং তার লাগানো এইজন্য তিনি কাটাচ্ছিলেন। দুইটি গাছ কাটার পর সরকারী লোক বাধা দেওয়ায় অপর দুইটি গাছ আর কাটেননি।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রিতম সিকদার জয় জানান, এই দুইটি এলজিইডি রাস্তার পার্শেই ১৫-২০ বছর আগে সিএনআরএসের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে গাছগুলো সৃজন করা হয়। গাছগুলো সরকারী সম্পত্তি। খবর পেয়েই লোক পাঠিয়ে গাছ কাটায় বাধা দেন।
ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ জানান, রাস্তার পাশের সরকারী গাছ কেউ কাটতে পারবে না। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে তিনি বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply