কমলগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস কমলগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

কমলগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

  • মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারগুলোতে বেড়েছে পিঁয়াজ, তেল, আলু, চিনি, আদা, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম। খুচরা বাজারে কেজিতে ৩০ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। বিশেষ করে, ভোজ্যতেল, পিঁয়াজ ও আলুর পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষেরা। অনেক দোকানে আগের মূল্যের পণ্য থাকা সত্বেও নতুন দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া দোকানে মূল্য তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। ফলে দাম নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে পড়তে হয় ক্রেতাদের। উপজেলার ভানুগাছ, শমশেরনগর, মুন্সীবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

খুচরা বাজারে খোঁঁজ নিয়ে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে সয়াবিন তেল ১৮৫ থেকে বেড়ে ২০০ টাকা, পিঁয়াজ ৪০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, আলু ২০ থেকে বেড়ে ৩৫ টাকা, চিনি ১২০ থেকে বেড়ে ১৩০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা, আদা ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, রাধুনি মরিচের গুড়া কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়েছে।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, রামাইস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, প্রতি পিছ লাউ ৫০ থেকে ৯০, মিষ্টি লাউ আকার বেধে ৫০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেরস ৫০ টাকা ও লেবুর হালি আকার বেধে ২০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ কম থাকায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। চাহিদা অনুপাতে বাজারে পণ্য আসলে দাম কমে যাবে।

দিনমজুর রুবেল মিয়া বলেন, পুরা সপ্তাহে একদিনও মাছ মাংস বা ডিম জুটছে না এর মাঝে আবার তেল, চিনি, পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমার মতো অনেক মানুষ আছে যারা কষ্ট করেও পরিবারের মুখে দুবেলা ভাত দিতে পারছেনা। সারাদিন কাজ করে ৪০০ টাকা রুজি করি ৫ জনের পরিবার কোন ভাবেই চলে না এ টাকা দিয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কেজি স্কুলের শিক্ষক বলেন, চার হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি, ৩টা টিউশনি করে আরও ৩ হাজার টাকা পাই। ৭ হাজার টাকা দিয়ে পুরো মাস কোনভাবেই পরিবারের খরচ চালাতে পারছিনা। আমার অবস্থা এতটাই করুন কারো কাছে হাত পাতর শুধু বাকি আছে। এই অবস্থায় নতুন করে প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য আবার বেড়েছে। ব্যবসায়ী বেলাল মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়ার কারণ জানার জন্য বাজার মনিটরিং করছি। ব্যবসায়ীরা যদি অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করেন তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews