বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রামীণ রাস্তায় ২০ বছর ধরে সরকারী বরাদ্দে কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। ২০০৩ সালে ব্যক্তি উদ্যেগে রাস্তায় ফেলা মাটি ও ইট উঠে গিয়ে রাস্তাটি এখন বেহাল অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। এতে বছরে ৬-৭ মাস এই রাস্তায় চলাচলকারীরা মারাত্মক দুর্ভোগ পোয়ান।
জানা গেছে, উপজেলার মাইজগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখের পাকা রাস্তা হতে দক্ষিণ মাইজগ্রাম মূখী বশারত আলীর বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার মধ্যবর্তী প্রায় এক কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে মাইজগ্রামের অধিকাংশ লোকজন উপজেলা সদর, চান্দগ্রাম বাজার, বিছরাবাজার এবং স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। মুসল্লীরা মসজিদে যাতায়াত করেন। এই রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানে ‘মাইজগ্রাম হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৩-৪ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করলেও গত ২০ বছরে সরকারী বরাদ্দের একমুঠো মাটিও পড়েনি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। ২০০৩ সালে মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা হাজী মকবুল আলী এলাকার জনসাধারণ ও স্কুল-মাদ্রাসা ও মসজিদের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাস্তাটিতে মাটি ও ইট ফেলে চলাচল উপযোগী করেন। এরপর প্রায়ই তিনি কিছু কিছু সংস্কার কাজ করলেও সরকারী বরাদ্দে কোন সংস্কার হয়নি।
সরেজমিনে গেলে গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আব্দুল হাসিব, মুরব্বি মজির উদ্দিন, আব্দুল কালাম, বাবরুল হোসন রিয়াজ, আব্দুল হক, ইসলাম উদ্দিন, হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক নাজিম উদ্দিন প্রমুখ জানান, গ্রামের গুরুত্বপুর্ণ এই রাস্তাটির প্রতি কারো যেন কোন নজর নেই। গত ২০ বছরেও সরকারী বরাদ্দে কোন সংস্কার কাজ হতে তারা দেখেননি। বছরের ৬-৭ মাস কর্মমাক্ত রাস্তায় যাতায়াত করতে জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোয়াতে হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য শুধু আশ্বাসই দিয়ে যান। ২০ বছর আগের ব্যক্তি উদ্যোগের সংস্কার কাজ উঠে যাচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। রাস্তাটির প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৬ বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ শাহাব উদ্দিন এমপি বরাবর আবেদন করেও কোন সুফল মিলেনি। গত বছরও সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এমপি বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান, এই রাস্তায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। তার দাবী সংস্কার কাজের জন্য ইতিপূর্বে কিছু সরকারী বরাদ্দ মিলেছে। কাজ হলো কি না খোঁজ নিয়ে দেখবেন। ইট সলিংয়ের জন্য একটি প্রকল্প আসলেও রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য লিস্টেড থাকায় তা ফেরত গেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী প্রিতম সিকদার জয় জানান, রাস্তাটি এলজিইডির আইডিভুক্ত হলেও এখনও পাকাকরণের উপযোগী নয়। মাটির কাজ ও ইটসলিং করে রাস্তাটি উপযুক্ত করার পর পাকাকরণের নিয়ম রয়েছে।
Leave a Reply