রতি কান্ত রায়, কুড়িগ্রাম :: বন্যার কড়াল গ্রাস তবুও কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে দিগন্তজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে প্লাবিত হয়েছিল বিস্তৃর্ণ এলাকা। তবুও সব প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে আমন রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন ধানচাষীরা।
বন্যার কারণে উপজেলার কিছু এলাকায় আমন চারা রোপনে বিলম্ব হলেও বর্তমানে তা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- প্রায় সব জমিতে কৃষকরা আমন চারা রোপন শেষ করেছেন। কৃষাণ-কৃষাণীর নিবিড় মমতায় চারা গাছগুলো দিনে দিনে সবুজ সতেজতায় বেড়ে উঠছে।
সাড়া ফুলবাড়ীর দিগন্তজুড়েই এখন সবুজের সমারোহ।চারা রোপনের পর ফসলের পরিচর্যায় এ অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণীর পদচারনায় মুখরিত আমনের ক্ষেত।
এবারের বন্যায় কিছু আমন বীজতলা তলিয়ে গেলেও দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় চারার কোন ক্ষতি হয়নি।ফলে সঠিক সময়েই আমনের চারা রোপন কাজ শেষ করতে পেরে স্বস্তিতে কৃষকেরা।
বন্যা পরিস্থিতিতে চলতি আমন মৌসুমে চাষাবাদের বিষয়ে জানতে কথা হয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদের সাথে, এসময় তিনি জানান – এবারে উপজেলায় ১১ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত এলাকাসহ ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার ভাঙ্গামোড় ও বড়ভিটা ইউনিয়নের নিচু এলাকায় কিছু জমিতে এখনো চারা রোপন কাজ চলছে। চলতি মৌসুমে দুইটি বন্যার পরেও উপজেলায় আমন চারার কোন সংকট নেই তাই আমন চারা রোপনে শতভাগ লক্ষ্য অর্জিত হবে। তাছাড়া সঠিক পরিচর্যা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অধিক ফলনের সম্ভাবনার কথাও জানান তিনি।
আরকেআর/জেএইচজে
Leave a Reply