সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ নেতা সফি আহমদ সলমান : ইয়াবার টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফের ওপর হামলা সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ নেতা সফি আহমদ সলমান : ইয়াবার টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফের ওপর হামলা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজারে পূবালী ব্যাংকের নতুন ভবনে যাত্রা শুরু কমলগঞ্জের শমশেরনগর : বিমান বাহিনীর ৫২ তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও  মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব এবং পরিবেশগত সমস্যা বিষয়ক প্রচারাভিযান কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দীর্ঘদিনের কোন্দল মেটালেন জেলা আহবায়ক জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ‘ফ্রেন্ডশিপ’ এর জেলা পর্যায়ে মর্যাদাপূর্ণ ‘প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক এ্যাওয়ার্ড’ অর্জন ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভা কমলগঞ্জে ইউপি সদস্যের বন সংলগ্ন সরকরি জমি দখল করে ঘর নির্মাণ চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কমলগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা রাজনগরে ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

সংবাদ সম্মেলনে আ’লীগ নেতা সফি আহমদ সলমান : ইয়াবার টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি তায়েফের ওপর হামলা

  • রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ইয়াবা ব্যবসার টাকা ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই মূলত উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই হামলার পেছনে কোন ধরনের ইন্দন কিংবা বিষয়টা আমার জানা নেই। বরং পরিকল্পিতভাবে আমার পরিবারের ২ জন সদস্যকে মামলায় আসামী করা হয়েছে বলে জানান কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম সফি আহমদ সলমান। শনিবার ০১ জুন রাত সাড়ে ৮টায় তিনি নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের খোলামেলা ব্যাখ্যা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে একেএম সফি আহমদ সলমান বলেন, কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ একজন মাদকাশক্ত। শুধু মাদকাসক্তই নয়, মাদক ব্যবসার সাথে সে জড়িত। মাদকের টাকা ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে ব্যবসায়িক অংশীদাররা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু তায়েফ এখন বলছে, আমার নির্দেশে নাকি তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলার বিষয়ে আমি অবগত নই। মাদক তাকে এমনভাবে গিলে খেয়েছে যে, এখন সে পুরাই উন্মাদ হয়ে গেছে। সুস্থ মানসিক ও হিতাহিত জ্ঞান সে হারিয়ে ফেলেছে। তার একটা পুরো মাদকের সিন্ডিকেট রয়েছে। তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে আমি বলেছি, সে যেন আমার সঙ্গ ত্যাগ করে। টাকার জন্য সে বেপরোয়া হয়ে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে চাঁদা চায়। প্রবাসীসহ শত শত মানুষ আমাকে টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানায়। এমনকি ছাত্রলীগের কমিটির গঠনের সময় বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মীদের পদ দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কর্মীদের কাছ থেকে সে মাসিক টাকা আদায় করতো। টাকা চাওয়ার বিষয়টি ফেসবুকে বিভিন্ন ইউনিয়নের পদবঞ্চিত কর্মীরা ভাইরাল
করেছেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে যতদিন সে ভালো কাজ করেছে, ততদিন আমি সংগঠন পরিচালনার জন্য তাকে টাকা পয়সা দিতাম। কিন্তু আমি যখন দেখলাম সে বেসামাল হয়ে গেছে, তখন আমি তাকে আর কোন সহযোগিতা করি না বা টাকা পয়সা দেই না। সে এতটাই বেসামাল যে, আমাকে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভুমি দখলকারী বলতেও দ্বিধাবোধ করছে না। আমি কখনো চাঁদাবাজি করিনি। আমি কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত নই। মানুষ তায়েফের কাছে হাজার হাজার টাকা পায়। তার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এমন কোন কাজ নাই তার দ্বারা সংঘটিত হয়নি। আমি যখন দেখিছি, আমার নিজেকে ও সমাজকে নিরাপদ রাখার জন্য তাকে দূরে ঠেলে দেয়া প্রয়োজন, তাই আমি গত ৩০ এপ্রিল থেকে আমার কাছে না আসতে বলেছি। তার পরিবারের লোকজনকেও জানিয়েছি।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে তায়েফ মাদক গ্রহণ করে উন্মাদ হয়ে প্রায় সময় স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করতো। নির্যাতনের বিষয়টি তার পরিবার এবং স্থানীয় লোকজনের সবারই জানা। তার স্ত্রী, শ্বশুর, এমনকিপরিবারের লোকজন সবসময় জানাতেন। একপর্যায়ে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়ে আটকা পড়ে। তায়েফের বাবাকে সাথে নিয়ে সালিশ বৈঠক করে তার স্ত্রীকে এনে দেই। কিছুদিন পর আবারও মাদক গ্রহণ করে যখন তায়েফ স্ত্রী লাবনীর ওপর শারীরিক নির্যাতন করতো তখন লাবনী আমাকে ওয়াটসআপে মেসেজ লিখে তার মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেবার অনুরোধ জানায়। বিষয়টি নিয়ে আমি একাধিকবার নিরসনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে সংশোধন হয়নি। আমি তার বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বলেছি তায়েফ মাদকাসক্ত। তাকে সুস্থ করার জন্য চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবার তাকে সেই পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি। তাইআমি বাধ্য হয়ে আমার পকেটের টাকা দিয়েসিলেটে মাদক পুণর্বাসন কেন্দ্রে প্রায় ৩ মাসচিকিৎসা করাই। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এসে সে পুনরায় তার পুরনো অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদনির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে কুলাউড়ার উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। টানা তিন বার উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে ১৯ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব অত্যন্ত সুনামের সাথে পালন করেন। এরআগে আমার বড় ভাই মোসাদ্দিক আহমদ নোমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে আমার ছোটভাই জাফর আহমদ গিলমানচেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে আমার পরিবারের মান সম্মান ও আমার ব্যক্তিইমেজকে নষ্ট করার জন্য একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে আমাকে জড়িয়ে মাদকাসক্ত তায়েফ এখনযে মিথ্যাচার করছে, এজন্য আমি আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেবো। তবে আমার দ্বারা তার পরিবারের কোন ক্ষতি হবে না। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews