এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শণ করেছেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের গিয়াসনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শণ করেন। এসময় আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা লোকজনের খোঁজখবর নেন এবং তাদেরকে খাদ্য সহায়তা করেন।
জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কুলাউড়া উপজেলায় ২৪ টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৪৩০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে টিলা ধ্বসে পড়ার আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশ ঝুঁকি নিয়ে বসবসাকারী পরিবারকে নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে উপজেলার ভুকশিমইল, জয়চন্ডী, কাদিপুর, ব্রাহ্মণবাজার, বরমচাল, ভাটেরা, সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে পানি উঠেছে। এতে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘরে ঠিকতে না পেরে অনেক পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছেন। এছাড়াও উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগের প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানিবন্দি মানুষদের খোঁজ-খবর নিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, জয়চন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহাবুব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু মোহাম্মদসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যগণ। এসময় তাঁরা আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রিত লোকজনের খোঁজখবর নেন এবং তাদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেন।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম জানান, জেলার ৭ টি উপজেলার মধ্যে পৌরসভাসহ ৪৭ টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত। এসব ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি রয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় ২০৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে আশ্রয়িত লোকজনকে শুঁকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। #
Leave a Reply