বিলুপ্ত প্রায় পিটুয়া বিলুপ্ত প্রায় পিটুয়া – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

বিলুপ্ত প্রায় পিটুয়া

  • মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০

রতি কান্ত রায়, কুড়িগ্রাম :: গ্রামবাংলায় গরম আর বর্ষার মাহেন্দ্রক্ষণে বড় ভরসার সাথী। এর আঞ্চলিক নাম পিটুয়া। গ্রামবাংলায় পিটুয়া বললে চেনে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ছাতার বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হত এই পিটুয়া।

গনগনে রোদ আর তার পরে ঝরঝর বারিধারার এই মৌসুমে দেওর-বউদি-ভাশুর-ভাদ্দরপো নির্বিশেষে সকলে ফের পিটুয়াধর বনে গিয়েছেন কেনাকাটা থেকে ফুটপাথ সর্বত্র।

পিটুয়া তৈরি করা হয় মুলত বাঁশ আর পলিথিন বা পলাশ গাছের পাতা দিয়ে।

গ্রামের প্রতিটি বাড়ীতে পিটুয়ার প্রচলন ছিল। গ্রামবাংলার আবাল -থেকে বৃদ্ধা সবাই ব্যবহার করতো, বিশেষ করে বর্ষার দিনে।

প্রতিটি ঘরে কম্পক্ষে২/৪ করে পিটুয়া থাকতো।আর এখন পিটুয়ার কথা বললে অনেকে জানে না। বলে এটা আবার কি জিনিস ? ” জিনিয়া বাবাকে ডেকে বলে বাবা ছাতা না হলে আমি পড়তে যাব না। বাবা বলে টেহা নাই ছাতা কিনুম কেমনেরে মা,ঘরে পিটুয়া আছে নিয়া যা”।

বিজ্ঞানের কল্যাণে ঐতিহ্যবাহী পিটুয়ার যুগ এখন শেষের পথে। সেই স্থান দখল করে নিয়েছে আধুনিক ছাতা আর রেইনকোর্ট।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিবের বাজারে(শাহবাজার) মো:
মফিজুল ইসলাম (৩০) পিটুয়া মাথায় দিয়ে বাজার করতে আসেন। বাজার করার ফাঁকে তার সঙ্গে কথা হয়।

এসময় পিটুয়া ব্যবহারের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাপ- দাদার আমল থেকে আমারা পিটুয়া ব্যবহার করে আসছি।
তিনি আরও জানান অনেকটা শখের বসে এবং গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য কিন্তু বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করেন না এর কারণটা হচ্ছে পিটুয়া মাথায় দিলে বেমানান দেখা য়ায়। এভাবে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পিটুয়া।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews