এইবেলা, কুলাউড়া :::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সরকারি একটি রাস্তা বিলীন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল, কলেজ ও বাজারগামী মানুষের যাতায়াতের জন্য ২-৩ বছর পূর্বে সরকারী অর্থায়নে রাস্তাটি ইটসোলিং করা হলেও এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীরা ১৪ জুন শনিবার দুপরে ১০-১২ জন মানুষকে নিয়ে সরকারি রাস্তার ইটসোলিং তুলে রাস্তাটি সরিয়ে নেয়া হয়।
বিষয়টি তাৎক্ষনিক কুলাউড়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেনকে জানানো হলে তিনি কাজ বন্ধের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে অবশ্য গত ২ মাস পূর্বে এলাকার কতিপয় ব্যক্তি সরকারী রাস্তাটি বাউন্ডারীর ভেতরে নিয়ে জখলের চেষ্টা করছেন বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে একটি আবদেন করে প্রতিকার চেয়েছিলেন এলাকাবাসী। সহকারী কমিশনার তাঁর অধীনস্থ সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করে আবেদনের সত্যতা পেয়ে গ্রামবাসীকে সরকারী রাস্তার উপর বাউন্ডারি ভেংগে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু ভূমি কর্মকর্তার নির্দেশনা না মানায় ঈদের কয়েকদিন পূর্বে তিনি সরজেমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। কিন্তু ঈদের সরকারী ছুটি থাকার সুযোগে শনিবার দুপরে ১০-১২ জন মানুষকে নিয়ে সরকারী রাস্তার ইট উপড়িয়ে ইট সরিয়ে রাস্তাটি বাউন্ডারির ভিতরে নিয়ে নেন কতিপয় ব্যক্তি। ঘটনাটি কুলাউড়া উপজেলার হাসিমপুর-বাবনিয়া দীগিরপার সংলগ্ন ।
এলাকাবাসীর পক্ষে প্রবীন মুরব্বি মো:শফিক মিয়া জানান,তিনি গত ১৩ এপ্রিল কুলাউড়া সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবরে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সরকারী রাস্তাটি উদ্বারতো প্রশাসন করলনা;উল্টো রাস্তার ইট পর্যন্ত খূলে নিলো হাসিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র ফরিদ মিয়াসহ তার সহযোগীরা। তিনি বলেন,উক্ত রাস্তাদিয়ে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীগন এবং মসজিদে মুসল্লিগণ যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু ফরিদ মিয়া গংরা সরকারী রাস্তা বাউন্ডারির মধ্যে ঢুকিয়ে জবর দখল করে শনিবার রাস্তার ইট পর্যন্ত তুলে নিয়েছেন।
এব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার হেলাল মিয়া জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদ মিয়াকে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর কাজ বন্ধ হয়েছে মনে হচ্ছে। এরপরেও আমি ইট সলিং তুলতে নিষেদ করছি।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, সরকারী রাস্তা উদ্বারের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসককে আমি লিখিতভাবে জানিয়েছে। রাস্তার ইট তুলে নেওয়ার বিষয়টি আমাকে এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন। যেহেতু এখন খবর পেয়েছি সেহেতু স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে রাস্তার ইট খুলে নেওয়া বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
কিন্তু বিকেল সাড়ে ৪ টায় সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়,প্রশাসনের কোন নির্দেশনা ফরিদ মিয়াগংরা না মেনে সরকারী সড়কের ইট তুলে পাশ্ববর্তী রাস্তায় ইট বসাচ্ছেন। যুক্তি হিসাবে ফরিদ মিয়া বলেন, প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে রাস্তা এবং মসজিদের সৌন্দর্যের স্বার্থে রাস্তা বিনিময় করে সমঝোতায় কাজটি করছি।
তবে অভিযোগকারী শফিক মিয়া জানান,কোনধরনের সমঝোতা দূরের কথা তারা গায়ের জোরে সরকারী রাস্তাটি বাউন্ডারির ভিতরে ঢুকিয়েছে এবং রাস্তার ইটও তুলে নিয়েছে। #
Leave a Reply