কুলাউড়ায় খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুলাউড়ায় খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন পরিষদের আত্মপ্রকাশ বড়লেখার দেওছড়া খাল দখল ও ভরাট : পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় ভাঙ্গছে রাস্তা কুলাউড়ায় স্বামী-স্ত্রীর অপকর্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী : প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন- কুলাউড়ায় কলেজ ছাত্রের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা নাগেশ্বরীতে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা যুক্তরাজ্য থেকে কমলগঞ্জের নিজ এলাকায় ফেরায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইটের খুয়ার পরিবর্তে ইটের গুড়া ! ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন বড়লেখায় ওয়ালটন প্লাজার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জুড়ীতে ৬৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু বিতরণ

কুলাউড়ায় খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সালাউদ্দিন:- দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলছে স্কুল কলেজ। করোনা মহামারী ঠেকাতে সরকার স্কুল কলেজের পাঠদান কর্মসূচি স্থগিত করে। অনলাইনে চালু করা হয় পাঠদান কর্মসূচি। যেখানে স্কুল-কলেজের আঙ্গিনা শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত থাকত সেখানে এই চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে গিয়েছিল করোনা মহামারীর কারণে । দীর্ঘসময় শিক্ষার্থী বিহীন রয়েছে স্কুল-কলেজের আঙিনা। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা যায় স্কুলের আঙিনায় ঘাস বেড়েছে মুক্ত বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে। প্রতিদিন খোলা হয়নি স্কুলের দরজা জানালা। অনেক স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ভাপসা স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় দেখা যায় ‌।

এরইমধ্যে খুলেছে স্কুল -কলেজ ।স্কুলের মাঠ এবং আঙিনা পরিষ্কারসহ শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চি, ইলেকট্রিক লাইন এবং পাখা সচল রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পাঠদান বন্ধ থাকায় শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ নেই আগের মত।সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের টাট্টিউলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মুহিত জানান, “স্কুল খোলার জন্য ইলেকট্রিক লাইন সহ সবকিছু ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি। শিক্ষার্থীরা যাতে আগের মত শ্রেণিকক্ষে পড়ালেখা করতে পারে সে বিষয় লক্ষ্য রেখে সবকিছু ঠিকঠাক করেছি”।

কুলাউড়া উপজেলার দিগলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় পানির লাইনে দেখা দিয়েছে সমস্যা। “স্কুল খোলায় প্রস্তুতি নিয়েছি। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় পানির লাইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ সময় পর শিক্ষার্থীদের একসাথে সাথে দেখা হয়েছে। অনুভূতিটা বেশ ভালই লাগছে ” যোগ করেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাহির ‌।

কুলাউড়ার নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাফিউল আলম চৌধুরী জানান , “দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলেছে । অনেকদিন থেকে শিক্ষক এবং সহপাঠীদের একসাথে দেখা হয়নি। একসাথে সবার শ্রেণিকক্ষে দেখা হয়। স্কুল আর বন্ধ হবেনা এমনটাই প্রত্যাশা করছি”।

মহামারীর কারণে পাঠদান স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বেশিরভাগ সময় অলস সময় পার করেছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদান সচল রাখতে চালু করা হয় অনলাইন স্কুল। কুলাউড়ায় তৈরি করা হয় “অনলাইন স্কুল কুলাউড়া” । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্লাসের ভিডিও ধারণ করে নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস নিতে দেখা যায়। কিন্তু গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে দেখা যায়। সাধারণত গ্রামের সকল জায়গায় ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে সুবিধা বঞ্চিত ছিল।

বিশেষ করে তাদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকায় তারা পিছিয়ে ছিল অনলাইন ক্লাসে। সরকারি উদ্যোগে টেলিভিশনে ক্লাস নেওয়া হলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের বাড়িতে টেলিভিশন না থাকায় তারা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেনি।

অনলাইনে পাঠদান রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এমন একজন শিক্ষক কুলাউড়া সরকারি কলেজের প্রভাষক আবুল কাশেম রুবেল।তিনি জানান “প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক সময় ইন্টারনেট পাওয়া যায় না। এজন্য রেকর্ডকৃত ক্লাস সবাই দেখতে পারেনি। তাছাড়া গ্রামে অনেক শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন নেই”।

অনলাইন ক্লাসে এগিয়েছিল শহরে বসবাসকারী শিক্ষার্থীরা। শহরের প্রাথমিক মাধ্যমিক ,উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাসে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাফিজ রিফাত নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন অনলাইন ক্লাসে। তিনি জানান “আমার বাবার স্মার্টফোন এবং আমার বাসায় ওয়াইফাই আছে। আমি নিয়মিত অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করি। তবে অনলাইন ক্লাস আমার ভালো লাগেনা। আমি চাই নিয়মিত সহপাঠীদের সাথে বসে একসাথে ক্লাস করতে” ‌।

স্কুল খোলা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের । এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগ্রহ রয়েছে শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও আগ্রহ রয়েছে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান গ্রহণ করতে ‌।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews