তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন পরিষদের আত্মপ্রকাশ বড়লেখার দেওছড়া খাল দখল ও ভরাট : পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় ভাঙ্গছে রাস্তা কুলাউড়ায় স্বামী-স্ত্রীর অপকর্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী : প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন- কুলাউড়ায় কলেজ ছাত্রের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা নাগেশ্বরীতে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা যুক্তরাজ্য থেকে কমলগঞ্জের নিজ এলাকায় ফেরায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইটের খুয়ার পরিবর্তে ইটের গুড়া ! ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন বড়লেখায় ওয়ালটন প্লাজার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জুড়ীতে ৬৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু বিতরণ

তৌহিদুর রহমানের কবিতা ‘ড্রাইভার’

  • মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

ড্রাইভার
তৌহিদুর রহমান

ড্রাইভার নাকি ছোট জাত?
সর্ব লোকে কয়;
তাদের নাকি আচার আচরণ
মোটেই ভালো নয়।

কথায় তারা রুক্ষ অতি,
চোখ দুটো তার লাল;
সবাই বলে তারা নাকি
মদ খেয়ে হয় টাল।

অনেকেতো বলেই ফেলে
বজ্জাত সব তারা;
মেয়ে দেখলেই তারা নাকি
হয়ে যায় টেরা।

দুনিয়ার যত মন্দ কথা,
আসে তাদের মুখে;
টাকা পেলেই তাদের মুখে
হাসি নাকি ফুটে।

মানছি আমি সব কথাই,
তবুও কথা থাকে;
সবার মাঝেই ভালো মন্দ
মিলে মিশে থাকে।

তোমরা সবাই মন্দ টুকুই
দেখলে বড় করে;
বিবেকটাকে নেড়ে দেখ
তারা বাঁচে কেমন করে?

কত শত চাপে থাকে,
কষ্ট সীমাহীন;
এদিক সেদিক হলেই একটু
জীবন হয় বিলীন।

রাস্তায় যখন থাকে তারা
আমাদেরকে নিয়ে;
সবার চাপ একাই সে
বহন করে নিজে।

কেউ বলছে ড্রাইভার ভাই
চালাও আরো জোরে;
আমার আবার তাড়াতাড়ি
অফিস ধরতে হবে।

কেউ বলে ভয় লাগে ভাই,
গতি কমাও দ্রুত;
সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি
এইটা আগে বুঝো।

রাস্তায় যখন যানজট হয়,
দাঁড়িয়ে থাকে ঠাঁয়;
একচুল‌ও নড়িবার তার
ক্ষমতা যে নাই।

তুমি আমি সাইকেল বা মোটরসাইকেলে
ফাঁকে ফাঁকে ঢুকি;
কখনো আবার ফুটপাতে
সোজা গিয়ে উঠি।

আর যদি পায়ে চলো
তাহলে তো রাজা;
সাপের মতো এঁকে বেঁকে
সামনে চলো সোজা।

ভেবেছ কি ড্রাইভার যে
বসে আছে ঠাঁয়;
মনের ভিতর তার কতো
ঝড় বয়ে যায়।

মালিককে দিবে জমা,
রাস্তায় আছে কতো চাঁদা;
সব মিটিয়ে তার আয়
হয়ে যায় আধা।

থাকতে হয় খুব সর্তক,
আশেপাশে যত গাড়ি;
একটু দাগ পরলেই
মালিক দিবে জারি।

কখনো কখনো এমনও হয়
দিতে হয় টাকা ;
তা নাহলে চাকুরী তার
যাবে যে কাটা।

ঘরে তার অনেক মুখ
বসে আছে আশায়;
বাজার সদাই হলে কিছু
রান্না যদি চড়ায়।

তার ব‌উটা মা হবে,
টাকা কিছু চাই;
বাচ্চা দুইটা প্রাইভেটে
সেখানেও তাই।

মা-বাবা তার সাথেই খায়,
বয়স হয়েছে;
তাদের‌ও যে মাঝে মধ্যে
চিকিৎসা লাগে।

কিন্তু এখন গাড়ির সংখ্যা
অনেক বেড়েছে;
আগের থেকে আয় অনেক
কমে এসেছে।

ভাবো একবার কতো চাপে
রাস্তায় থাকে সে;
তোমার আমার জীবন নিয়ে
থাকে টেনশনে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews