বড়লেখায় ইউপি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ : পুন:নির্বাচনের দাবি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বড়লেখায় ইউপি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ : পুন:নির্বাচনের দাবি চেয়ারম্যান প্রার্থীর – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুলাউড়ায় জয়চন্ডী ইউনিয়ন যুব উন্নয়ন পরিষদের আত্মপ্রকাশ বড়লেখার দেওছড়া খাল দখল ও ভরাট : পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতায় ভাঙ্গছে রাস্তা কুলাউড়ায় স্বামী-স্ত্রীর অপকর্মে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী : প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন- কুলাউড়ায় কলেজ ছাত্রের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কুড়িগ্রামে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা নাগেশ্বরীতে স্থানীয় অংশীদারদের সাথে সংলাপ এবং ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা যুক্তরাজ্য থেকে কমলগঞ্জের নিজ এলাকায় ফেরায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে সড়ক সংস্কার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ইটের খুয়ার পরিবর্তে ইটের গুড়া ! ইউএনও’র সরেজমিন পরিদর্শন বড়লেখায় ওয়ালটন প্লাজার ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প জুড়ীতে ৬৫ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে বকনা গরু বিতরণ

বড়লেখায় ইউপি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ : পুন:নির্বাচনের দাবি চেয়ারম্যান প্রার্থীর

  • শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

বড়লেখা প্রতিনিধি ::

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের দুইটি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনা এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস স্বপন। শুক্রবার রাতে অফিসবাজারস্থ নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি জানান। স্বপন আনারস প্রতীক নিয়ে ওই ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তৃতীয় ধাপে ইউপি ২৮ নভেম্বর এ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস স্বপন অভিযোগ করেন, ‘২৮ নভেম্বর দক্ষিণ শাহাবাজপুর ইউনিয়নে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। ভোট শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাদের দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেন। জোরপূর্বক ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নৌকা প্রতীকে সিল দেন। এভাবেই ভোট হয়েছে। নৌকার প্রার্থীর লোকজন প্রশাসনের সহযোগিতায় কয়েকটি কেন্দ্র দখল করে রাখেন এবং প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল দিয়ে বাক্সে ভরেছেন। মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্টরা সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জোরপূর্বক ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল দেন। ছোটলেখা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ২০০ ব্যালট পেপার ছিনিয়ে সিল মারে। এগুলো ধরা পড়ে। কিন্তু এর আগে আরও ব্যালটে সিল দেওয়া হয়। বোবারথল সেন্টারের ফলাফল পরিবর্তন করে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ফলাফল দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে সকল কেন্দ্র মিলিয়ে নৌকার প্রার্থী দুই হাজারের বেশি ভোট পেতেন না।’

স্বপন আরও বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে আমরা আশ্বস্ত ছিলাম। তিনি প্রার্থীদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বলেছিলেন এবারের নির্বাচন হবে সম্পূর্ণ ফেয়ার হবে। কোনো ধরণের কারচুপি হবে না। কিন্তু নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে গিয়ে দেখি প্যাডে ‘সিল’ নেই, ‘কালি’ নেই। আমার এলাকার ৪টি কেন্দ্রে ভোট শুরুর পর এই অবস্থা দেখে প্রিজাইডিংকে বলি। আমি লাইব্রেরি থেকে প্যাড, কালি কিনে দেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাব উদ্দিনও একটি কেন্দ্রে প্যাড, কালি কিনে দিয়েছেন। এটা কোন ধরনের নির্বাচন, আমার বোধগম্য হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টায় মোহাম্মদনগর সেন্টার থেকে আমার ও বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাব উদ্দিনের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলি। তিনি এসে ৫ মিনিট থেকে চলে যান। রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেনি। কিভাবে ভোট চুরি করা হয়েছে সকলেই দেখেছেন। আমাদের কাছে ভিডিও প্রমাণ আছে। কিন্তু আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। অভিযোগ জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি।’

সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়ে। ভোটের আগের দিন সকালে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে মোহাম্মদনগর ও বোবারথল সেন্টারের পূর্বের প্রিজাইডিং পরিবর্তন করে পছন্দের প্রিজাইডিং অফিসার দেওয়া হয়। এভাবে সকল সেন্টারেই একই ঘটনাট ঘটেছে।’

পুনঃ‌ভো‌টের দা‌বি ক‌রে এই প্রার্থী বলেন, ‘দুটি কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনা এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসার বরাবর ১ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে পুনরায় সুষ্ঠু ভোট দিয়ে জনগনের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফল ঘটনানোর জন্য দাবি করছি। প্রতিকার না পেলে ট্রাইব্যুনালে মামলা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে এলাকার সমাজসেবক শাহাজান উদ্দিন, জয়নুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, হাজী ওয়াইসুর রহমান, আব্দুর রুপ, ফখরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, আজিম উদ্দিন, রিপন আহমদ, ময়না মিয়া, মামুন আহমদ, আব্দুল মুমিন, আলবাব হোসেন অপু, মহি উদ্দিন টিটু, শাকির আহমদ, কয়েছ আহমদ, এনাম উদ্দিন, নছির উদ্দিন, হাজী আহমদ আলীসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews