সওজের ৭ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম : জনদুর্ভোগ সওজের ৭ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম : জনদুর্ভোগ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মে দিবসে বড়লেখায় শ্রমজীবীদের মাঝে নিসচা’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ বড়লেখায় ঝড়ে উড়ে গেছে পৌরভবনের চাল-ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুতহীন বড়লেখায় ব্যবসায়ির ভূমির গাছ চুরি-চার আসামির ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা রাজনগরের ফতেহপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস সাময়িক বরখাস্ত কুলাউড়ায় ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কমলগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের মতবিনিময় কুলাউড়া শাহ্জালাল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষের বিদায়ী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ আত্রাইয়ে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন কুলাউড়ায় ইউনিয়ন ওয়াটসান কমিটির ওয়াশ বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন মৌলভীবাজারে আগর-আতর শিল্পের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনার-উৎপাদন ও রপ্তানির জটিলতা নিরসনের দাবি

সওজের ৭ কোটি টাকার ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম : জনদুর্ভোগ

  • সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১

আব্দুর রব, বড়লেখা :

বড়লেখা, জুড়ী ও রাজনগরে সওজ রাস্তায় প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি ব্রিজের নির্মাণ কাজ পায় চট্রগ্রামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স। এরমধ্যে ৭টিই বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলায় পড়েছে। কাগজে কলমে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স থাকলেও অদৃশ্য চুক্তিতে কাজ করছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন। অভিযোগ উঠেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকারের তদারকি অবহেলায় নির্মাণ কাজে অনিয়ম চলছে। কার্যাদেশে প্রতিটি ব্রিজ নির্মাণের আগে যথাযথভাবে বিকল্প সড়ক (ডাইভার্সন) নির্মাণের নির্দেশনা থাকলেও সাব লিজ গ্রহিতা ডাইভার্সন তৈরীতে চরম অনিয়ম করেছেন। ব্রিজের নির্মাণ কাজেও নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। ডাইভার্সন সমস্যায় ৩/৪ মাস যানবাহন ও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী দুর্ঘটনাসহ নানা দুর্ভোগ পোয়ালেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার। বরং ডাইভার্সনের অনিয়ম ঢাকতে ব্রিজের কিউরিং পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই যানবাহন চলাচল খোলে দেন। এতে ব্রিজগুলোর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বড়লেখা-শাহবাজপুর সড়কের ঘোলসা ও তারাদমে ৪টি, জুড়ী-ফুলতলা সড়কে ২টি, জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কে ১টি ও মৌলভীবাজার-কুলাউড়া সওজ সড়কের রাজনগরে ১টিসহ মোট ৮টি ব্রিজ র্নির্মাণের কাজ পায় চট্রগ্রামের ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মেসার্স ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স। এতে ব্যয় হচ্ছে ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কিন্ত এ প্রতিষ্ঠানটি শুধুই কাগজে কলমে। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন ব্রিজ নির্মাণ করছেন। সুত্র জানায়, এধরণের ব্রিজ নির্মাণের মেশিনারিজ ও টেকনিকেল সাপোর্ট না থাকা স্বত্তেও রহস্যজনকভাবে তিনি সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছেন। সঠিকভাবে ডাইভার্সন না করে বড়লেখায় দুটি ব্রিজের কাজ শুরু করেন। ডাইভার্সন অনিয়মে প্রায় ২ মাস সংশ্লিষ্ট সড়কের চলাচলকারীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোয়াতে হয়। ট্রাক উল্টে আহত হওয়াসহ ঘটেছে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও। তাপরও সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডিইও ডাইভার্সন মেরামতে তৎপর হননি। নি¤œমানের পাথর ব্যবহারের ব্যাপারে নেননি কোন ব্যবস্থা।

সরেজমিনে জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কের নোয়াবাজার নামক স্থানের নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে সঠিকভাবে ডাইভার্সন না থাকায় মারাত্মক ঝুকি নিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণকে চলাচল করতে দেখা গেছে। গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যা আনোয়ারা বেগম, স্থানীয় ব্যবসায়ী লোকমান আহমদ, রিফাত বাপ্পি, রেদওয়ান আহমদ, আশরাফুজ্জামান প্রমুখ জানান, এ সড়কে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত ও যানবাহন চলাচল করে। ব্রিজ ভেঙ্গে তৈরী করা বিকল্প সড়কটি মোটেও ঠিকভাবে করা হয়নি। এতে মারাত্মক ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনায় পড়ছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এসডিইও ও সেকশন অফিসারকে বারবার সঠিকভাবে ডাইভার্সন তৈরীর কথা বললেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বেহাল অবস্থায় দাঁড়ালেও মেরামত করেননি। বাধ্য হয়ে নতুন ব্রিজের ওপর দিয়ে মানুষজন, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল নিয়ে চলাচল করছেন। এতে ব্রিজের ক্ষতির হচ্ছে। ডাইভার্সন মেরামত না করে ব্রিজ ঢালাইয়ের ১৫-১৬ দিনের মাথায় খুলে দেয়ার পায়তারা চলছে। এছাড়া ব্রিজে নিম্নমানের পাথর ও ননগ্রেড রড ব্যবহার করা হয়। এসব ব্যাপারে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলেনি। প্রায়ই কর্মসময়য়ে এসডিইও’র সরকারী ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতেই মনে হচ্ছে সওজ কর্মকর্তাদের সাথে ঠিকাদারের গভীর সখ্যতা রয়েছে। এজন্য তিনি সরকারী কাজ সঠিকভাবে তদারকি করছেন না।

এব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার জানান, মুল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্সের হয়ে ৮টি বিজ্রের নির্মাণ কাজ করছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন। ৬টি ব্রিজের কাজ প্রায় সম্পন্নে পথে। কাজের তদারকিতে তার কোন অবহেলা নেই। মানসম্পন্ন কাজ আদায়ে তিনি খুবই তৎপর। জুড়ীর নয়াবাজারের ব্রিজের ডাইভার্সন অনিয়মে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, নির্মিত ব্রিজটি দ্রুত চালুর জন্য এপ্রোচ রোডে মাটি ভরাট চলছে। বাকি কাজ ও কিউরিং পিরিয়ড শেষে ব্রিজটি খোলে দেওয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews