বাজানের আমলের একখান হাতাওয়ালা চেয়ারে-
আসন পাতি,
বাজানের শখের হুক্কাখান
বেজান হইয়া চাইয়া রয়,
লম্বা শ্বাস নিয়া পাতার বিড়িতেই
সুখের টান মারি।
গাঙের গা জুড়াইন্যা বাতাসে
বউয়ের আহ্লাদি হাতের ছোঁয়া পাই!
ঠা ঠা রইদে ক্ষেতে লাগানো ধানের চারা গুলানের
ছাওয়াল মতন চাওন দেইখ্যা
কইলজাডা ভইরা যায়।
চক্ষু ঝাপসা হইয়া আহে,
পরানডা হুঁ হুঁ কইরা কাইন্দা ওঠে,
মনেপড়ে রোজ হাইঞ্জাকালে বাজান কেমুন দরদ মিশাইয়া
দারাজ গলায় গাজী-কালুর পুঁথি পড়ত সুর কইরা,
আমি হা হইয়া হুনতাম পক্ষিরাজ কেমনে উইড়া আহে।
আহ! বাজান আমার…….
একদিন আমিও বাজান হমু!
পুঁথি পড়ুম কিনা জানিনা;
তয়;
বাজানের কিচ্ছা হুনামু পোলা-মাইয়্যারে।
Leave a Reply