আব্দুর রব, বড়লেখা ::
বড়লেখা পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনির কলেজ রোডের সড়ক ও জনপথের ভুমি দখল করে নির্মিত অবৈধ দোকানঘরকে চোরাই রডের গোদাম বানিয়েছে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। অভিযোগ রয়েছে প্রতি রাতে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে তিনি ট্রাকভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গারী মালামালের সাথে চোরাই রড পাচার করছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে থানা পুলিশ ওই গোদাম ঘরে অভিযান চালিয়েছে।
জানা গেছে, বড়লেখা পৌরশহরের সরকারী ডিগ্রি কলেজ রোডে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গারী ব্যবসার আড়ালে চোরাই রডের ব্যবসা করছেন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। চোর সিন্ডিকেটের সাথে আতাত করে তিনি নির্মাণাধীন বিভিন্ন সরকারি ভবন ও ব্রিজ-কালভার্টের চোরাই রড ক্রয় করেন। মা এন্টারপ্রাইজ নামে ভাঙ্গারী মালের দোকান খুলে চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা চোরাই রডের ব্যবসা। ভাঙ্গারী দোকানের সামনের সড়ক ও জনপথ বিভাগের ভুমি দখল করে সেখানে নির্মাণ করেছেন অবৈধ টিনসেটের লম্বা দোকান ঘর। আর এ দোকান ঘরই ব্যবহার করছেন চোরাই রডের গোদাম হিসাবে।
সরেজমিনে গিয়ে সড়ক ও জনপথের ভুমির ওপরের অবৈধ দোকান ঘরে ব্যাপক পরিমান নতুন রড মজুদ থাকতে দেখা গেছে। সূত্র জানায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের পরিত্যাক্ত রেলস্টেক পাচারের পর এবার নির্মাণাধীন বিভিন্ন ব্রিজের রড চোরদের নিকট থেকে ক্রয় করেন। এ দোকানঘরে মজুত রেখে রাতের আঁধারে ভাঙ্গারী মালের সাথে তা পাচার করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রেললাইনের চোরাই রডের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া প্রায়ই নির্মাণাধীন বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন বিল্ডিংয়েরও রড চুরি হয়। এসব রড অল্প দামে ক্রয় করে পাচার করছে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। তার দোকানে ঢুকার পর ভুক্তভোগীদের কিছুই করার থাকে না।
এব্যাপারে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের দোকান কর্মচারি বিল্লাল হোসেন জানান, কামাল হোসেন মাল কিনতে বাহিরে গেছেন। মার্কেট মালিক সড়ক ও জনপথের ভুমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। মালিক ভাড়া নেন। অবৈধ দোকান ঘরের ভিতরের ব্যাপক রডের ব্যাপারে বলেন এগুলো তার মালিক (কামাল হোসেন) বাস্তবায়নাধীন রেললাইনের ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা একজন ঠিকাদারের নিকট থেকে ক্রয় করেছেন।
থানার এসআই আবু সাঈদ জানান, অভিযোগ পেয়ে বুধবার বিকেলে ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের সড়কের ভুমিতে নির্মিত অবৈধ দোকান ঘরে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক পরিমান নতুন রড থাকতে দেখেছেন। কামাল হোসেন ব্রিজের ঠিকাদারের নিকট থেকে রড ক্রয়ের কিছু কাগজপত্র দেখিয়েছেন। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তদন্তের আগে রডগুলো না সরানোর জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।#
Leave a Reply