বড়লেখা প্রতিনিধি ::
বড়লেখায় তৃতীয় ধাপে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচনের, ভোট পুনর্গণনার ও গেজেট প্রকাশ স্থগিতের দাবীতে ছয় জন পরাজিত ইউপি সদস্যপ্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন। ভুক্তভোগীরা কমিশনে প্রতিকার না পেলে ট্রাইব্যুনালে মামলায় যাবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে বড়লেখা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের নির্বাচন গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী ছলিম উদ্দিন অভিযোগ করেন তিনি টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ চলাকালিন ভাগাডহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্ট বদরুল ইসলামকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টরা জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে জালভোট প্রদান করেন। ভোট গণনার সময়ও তার এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল শীটও প্রদান করা হয়নি। ভোট চলাকালিন অনিয়মের বিষয়ে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি)-কে মৌখিক অভিযোগ করলে তিনি প্রতিকারের আশ্বাস দেন। জাল ভোট প্রদান ও গণনার অনিয়মে তাকে পরাজিত করা হয়। এজন্য তিনি ভোট পুনঃগণনা ও গেজেট প্রকাশ স্থগিতের দাবী জানান। নির্বাচন কমিশনে প্রতিকার না পেলে তিনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
নিজ বাহাদুরপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী ছলিম উদ্দিন ছাড়াও ভোটগ্রহণ ও গণনায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন ও ভোট পুনর্গণনার দাবীতে লিখিত আবেদন করেছেন নিজ বাহাদুপুর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপ্রার্থী নীলা রানী দাস, সুজানগর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. আলাল উদ্দিন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী দেলওয়ার হোসেন, তালিমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যপ্রার্থী মো. মামুনুর রশীদ। মামুনুর রশীদ অভিযোগ করেন, তার প্রতীকে সীলমারা ব্যালট বারান্দায় ফেলে দিয়ে ভয়াবহ কারচুপির মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমান জানান, পুনরায় নির্বাচন কিংবা ভোট পুনর্গণনার ক্ষমতা তার হাতে নেই। নির্বাচন কমিশিনরে নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply