কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ::
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু খানের বাসায় শুক্রবার ০৭ জানুয়ারি রাতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত ও নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বার্ণালংকার লুটের অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান । ঘটনার সময় ১ রাউন্ড গুলির শব্দ হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. টিপু খানের ছোট ভাই দিপু খান শুক্রবার বিকালে টেংরা সর্দারশাহ মাজারে গিয়ে মাজারের সাদিক নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। এসময় মাজার মসজিদের সেক্রেটারিকে গালাগাল করেন। চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করবেন বলে মাজারের খাদেম ইলিয়াস শাহকে আশ^স্থ করেন। রাতে আবারো চেয়ারম্যানের ভাই দীপু খান কয়েকজনকে গালাগাল করেন। রাত ৯টার পরে ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার (চেয়ারম্যান প্রার্থী) সেলিম আহমদের নেতৃত্বে একদল লোক তার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালায় বলে চেয়ারম্যান টিপু খান অভিযোগ করেন। হামলার সময় চেয়ারম্যানের বৃদ্ধা মাসহ ভাই দিপু খান (৪৫), জুবায়ের আহমদসহ (২২) কয়েকজনকে মারধর করা হয়। বাসার বিভিন্ন আলমিরার গ্লাস ভাংচুর করে নগদ এক লক্ষ ২০ হাজার ও ৭ ভরি স্বার্ণালংকার লুট করে হামলাকারীরা। এদিকে এ ঘটনার সময় ১ রাউন্ড গুলির আওয়াজ শুনা গিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান জানান, মাজারের এক পাগলের গালাগলি ও চিৎকারে বাসার লোকজন বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না। আমার ভাই তাকে গালাগাল করেছিল। বিষয়টি আমি সমাধান করে দেব বলে মাজারের লোকদের ফোনে বলেছিলাম। কিন্তু রাতে সেলিম মেম্বারের নেতৃত্বে একদল স্বসস্ত্র লোক বাসায় হামলা চালায়। বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি করে আলমিরা ভাঙচুর করে। নগদ ১ লাখ বিশ হাজার টাকা ও ৭ ভরি স্বর্ণালংকার এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাগজ লুট করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্বরা। সেলিমের ভাতিজা পাউপগান দিয়ে গুলিও করেছে।
সাবেক ইউপি সদস্য (৪র্থ ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থী) সেলিম আহমদ জানান, আমার নেতৃত্বে হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। চেয়ারম্যানের মাদকাসক্ত ভাই বিভিন্ন মানুষদের গালাগালি করেছে। মাজারে গিয়েও গালাগাল-হামলা চালায়। বিভিন্ন লোক তাদের বাসার সামনে গেলে চেয়ারম্যান ভাই দিপু একটি বন্দুক বের করে গুলিও করেছে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমি মধ্যস্থতায় ছিলাম।
এব্যাপারে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, টেংরা ইউনিয়নের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গুলির কথা পক্ষ বলেছে। আমরা এখনো পাইনি। বিষযটি তদন্তাধীন আছে। এ এঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার নেই। #
Leave a Reply