এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে গ্যাস বেরিয়ে আগুন ধরে রুবিয়া বেগম (৪২) নামে এক স্কুল শিক্ষিকার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ লঘাটি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অগ্নিদ্বগ্ধ স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষিকার শিক্ষক স্বামী আব্দুল করিমও (৪৮) দগ্ধ হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের একটি বেসরকারী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত রুবিয়া বেগম উপজেলার সুড়িকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুলের করিমের স্ত্রী ও উপজেলার কান্দিগ্রাম মিহারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রুবিয়া বেগম উপজেলার দাসেরবাজারের দক্ষিণ লঘাটি গ্রামে একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। বুধবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে রুবিয়া বেগম সেহরী খাবার তৈরীর জন্য রান্না ঘরে যান। এসময় তিনি গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই তার শরীরের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তার চিৎকার শুনে স্বামী আব্দুল করিম তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তিনিও দ্বগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবিয়া বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আব্দুল করিমকে সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা শামীম মোল্লা জানান, রান্না ঘরটি বদ্ধ ছিল। একারণে সিলিন্ডার লিকেজ থেকে রান্নাঘরে গ্যাস জমে যায়। রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতেই শরীরে আগুন ছড়িয়ে ওই শিক্ষিকার মৃত্যু ঘটেছে।
থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হাসেন সরদার জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে স্কুল শিক্ষিকা রুবিয়া বেগম মারা গেছেন। এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার স্বামীও দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085caller_get_posts
is deprecated. Use ignore_sticky_posts
instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6085
Leave a Reply