বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় পূর্ব শত্রæতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান (২৪) ও তার বাবার ওপর হামলা চালিয়েছে। উপজেলার কেছরিগুল এলাকায় ঈদের দিন সকালে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত কামরুল হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং তার বাবা রুহুল আমিন (৪৫) গত চার দিন ধরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান প্রতিপক্ষের ফয়জুল ইসলাম, ফয়ছল আহমদ, বাবুল আহমদসহ সাতজনের নামোল্লেখ ও ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেছরিগুল জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান ও তার বাবা রুহুল আমিন বাড়ি ফিরছিলেন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা প্রতিপক্ষের ফয়জুল ইসলাম, ফয়ছল আহমদ, বাবুল আহমদ গংরা তাদের পথরোধ করে দা ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক জখম হয়। স্থানীয়রা ও খবর পেয়ে পুলিশ হামলকারিদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কামরুলের বাবা রুহুল আমিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, আসামিরা আমাকে ও আমার বাবাকে ব্যাপক মারধর করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা এগিয়ে না এলে মেরেই ফেলত। হামলায় বাবা বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এখনও সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমারও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বড়লেখা থানার এসআই স্বপন কুমার বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান ও তার বাবা আহত হয়েছেন। থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা হচ্ছে।
Leave a Reply