বড়লেখা প্রতিনিধি ::
ভারতের শিলচর ডিটেনশন সেন্টারে দীর্ঘ সাজাভোগের পর দেশে ফিরেছে ৩ বাংলাদেশি নাগরিক। মঙ্গলবার বিয়ানীবাজারের শেওলা স্থলবন্দরে বিএসএফ-বিজিবি’র উপস্থিতিতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেছে।
এরা হচ্ছে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের লাইদ আলীর স্ত্রী ইসমত আরা বেগম রেশমা, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে শিহাব উদ্দিন ও কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব বাচেটল গ্রামের মুখলেছুর রহমানের ছেলে রায়হান আহম্মেদ তালুকদার। এরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে সীমান্ত পুলিশ ও বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান ও বিয়ানীবাজার শেওলা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের ইনচার্জ মো. মাসুদুজ্জামান জামান, ভারত থেকে প্রত্যাবাসনকারী ৩ বাংলাদেশি নাগরিককে বিএসএফ ও ভারতীয় সীমান্ত পুলিশের নিকট থেকে গ্রহণ করে তাদের অভিভাবকদের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা সহকারী যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা সমাজকর্মী অমলেন্দু কুমার দাশ জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশের বন্দী প্রত্যাবাসনে কাজ করছেন। স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে অসহায় মানুষকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন। ভারতের আসাম রাজ্যের ৫ টি ও মেঘালয় রাজ্যের ২টি জেল থেকে ইতিমধ্যে প্রায় ২৫০ বাংলাদেশীকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এই মানবিক কার্যক্রমের সম্মুখযোদ্ধা আসামের গৌহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর। তার বলিষ্ট কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় ভারতের জেলে অসহায়ভাবে পড়ে থাকা মানুষগুলো মৃত্যুর মূখ থেকে দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে।
Leave a Reply