সৈয়দ আমিরুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি :: “বিএনপি-জামাতের কাছে দেশের মানুষের জীবনের সমস্যা সমস্যা নয়। গ্যাস-বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকট নিয়ে যখন জনগণ চরমভাবে বিব্রতকর সময় পার করছে তখন তাদের কাছে প্রধান প্রশ্ন ক্ষমতা। আর সেই ক্ষমতার জন্য তারা ডান-বাম সব এক হয়েছে।”- বললেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি।
শনিবার ২৮ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পার্টির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বর্ষীয়ান এ নেতা আরো বলেন, বিএনপি-জামাতের রাষ্ট্র সংস্কারের অর্থ রাষ্ট্রের ধ্বংস সাধন সংবিধানের ধ্বংস সাধন। আর তাই তারা রেইনবো নেশনের কথা বলে ন্যাশনাল রি-কনসিলিয়েশন বলে স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষকে এক কাতারে দাঁড় করাতে চায়।
জনজীবনের সংকট প্রশ্নে সমাবেশে রাশেদ খান মেনন বলেন, “মানুষের প্রশ্ন তারা বাঁচবে কিভাবে, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে কিভাবে। মানুষ প্রতি মূহুর্তে সংকট থেকে উত্তরনের পথ খুঁজছে আমাদের জাতীয় দায়িত্ব হলো ঐক্যবদ্ধভাবে এই প্রশ্নগুলোর সমাধানের পথ বের করা। বিএনপি-জামাত তা না করে কেবলমাত্র ক্ষমতার জন্য লড়াই করছে। তাদের একটাই দাবি ক্ষমতা দিতে হবে। জনগণ তাদের সে ডাকে সাড়া দিবে না।”
তিনি আরো বলেন, “পাঠ্যবই নিয়ে চার দিকে রা রা শুরু হয়েছে। ড. জাফর ইকবাল সহ শিক্ষাবিদদের নিয়ে বিষোদগার চলছে। কারণ পাঠ্যপুস্তকে প্রগতি, বিজ্ঞান ও অগ্রগতির কথা আছে। সেই কারণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির গাত্রদাহ হচ্ছে। তাদের কথায় ভুল সংশোধনের কথা বলে শিক্ষামন্ত্রী মূলত আত্মসমর্পণ করছে। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞান ভিত্তিক একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার পথে না এগোলে দেশ পিছিয়ে যাবে।”
সরকারকে আহবান জানিয় বলেন, “আমরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আক্রমণের মুখে দাঁড়িয়ে পিছনে যাবেন না। বরং মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা এগিয়ে নিতে ঐক্যকে দৃঢ় করুন, বাধন শক্ত করুন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হোলে দেশ থেকে পাকিস্তানি ভুত তাড়ানো সম্ভব হবে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি-জামাত রাষ্ট্র মেরামত চায়। আমরা মনে করি ‘৭২-এর সংবিধানে ফিরলে রাষ্ট্র বিএনপি ও জামাত একসাথে মেরামত করা যাবে।”
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কামরূল আহসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে অারও বক্তব্য দেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড নূর আহমদ বকুল, কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ঢাকা জেলা সভাপতি কমরেড করম আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড হিমাংশু সাহা, টাঙ্গাইল জেলা সভাপতি গোলাম নওজব পাওয়ার চৌধুরী, গাজীপুর জেলা সভাপতি কমরেড আব্দুল মজিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক কমরেড কিশোর রায়, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক কমরেড সাদাকাত হোসেন খান বাবুল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক ও কমরেড আমিনুল ইসলাম গোলাপ।#
Leave a Reply