কুলাউড়ায় ঝিমাই বাগানের কয়েক কোটি টাকার পরিপক্ক গাছ কাটতে বাঁধা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামে ছাত্রাবাস থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার রাজস্ব তহবিলের অর্থ আত্মসাত- বড়লেখা উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক বরখাস্ত, বিভাগীয় মামলা বড়লেখায় নবপল্লব প্রকল্পের ‘প্রকল্প অবহিতকরণ’ সভা একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে : শফিকুর রহমান আধ্যাত্মিক, মানবিক দর্শন ও লোক ক‌বি সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী আজ আজ বড়লেখা মুক্ত দিবস : মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আলোচনা সভা প্রয়াত ডা. পবন চন্দ্র দেবনাথের ছোট ভাই ব্রজেন্দ্র দেবনাথ আর নেই কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে রেলওয়ে সচিব- সম্পন্নের ডেডলাইনেও বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় বড়লেখায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নফল রোজা শেষে ইফতার ও দোয়া মাহফিল কুলাউড়ায় আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে কৃষকদের জমিতে ফসল রোপণের অভিযোগ

কুলাউড়ায় ঝিমাই বাগানের কয়েক কোটি টাকার পরিপক্ক গাছ কাটতে বাঁধা

  • সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩

Manual6 Ad Code

এইবেলা, কুলাউড়া  ::  মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই চা বাগানের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের দু’সহস্রাধিক পরিপক্ক গাছ কাটাতে বাঁধা দিচ্ছে খাসিয়ারা। এব্যাপারে খাসিয়াদের দায়েরকৃত মামলা উচ্চ আদালতে খারিজ হলেও নানা টালবাহানা শুরু করেছে খাসিয়ারা। বাগানের গাছ কাটতে বাঁধা প্রদান, হুমকি প্রদর্শন ও বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় মেয়াদপূর্তির পরও কাটতে না পারায় গাছগুলি বিনষ্ট হচ্ছে। সেইসাথে সরকারের প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।

ঝিমাই চা বাগান সুত্র জানায়, ১৯৬৮ সালে জনৈক ফজলুল করিমের কাছ থেকে ঝিমাইতে ৬শ ৬১ একর ও ভালাইরমাতে ৭শ ২২ একর জায়গা মালিকানা গ্রহণ ঝিমাই চা বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে চা বাগান জাতীয়করণের সময় ভালাইরমা ছড়ার ৭শ ২২ একর জায়গা সরকারের কাছে সারেন্ডার করা হয়। অবশিষ্ট ৬শ ৬১ একর আয়তন বিশিষ্ট ঝিমাই চা বাগান গত ২০১২ সালে লিজ নবায়ন কারা হয় আগামী ৪০ বছরের জন্য। বাগানের প্রতিষ্টালগ্ন থেকে বাগানের মধ্যে কিছু বন জংগল ছিল। সেগুলোতে চা শ্রমিকরা যেতে ভয় পেতো। সেজন্য বাগান কর্তৃপক্ষ ৪-৫ জন খাসিয়াকে লেবার লাইনে বসবাসের অনুমতি দেয় বাগানের শ্রমিক হিসাবে। কিন্তু ফিল খাসিয়া মারা যাওয়ার পর ২০০৯-১০ সালের দিকে ফিল খাসিয়ার ছেলে রানা সুরং বাগানের আপত্তি সত্বেও বিভিন্ন এলাকা থেকে খাসিয়াদের এনে বাগানের জায়গায় জবর দখল বাড়াতে থাকে। বর্তমানে এই খাসিয়া পল্লিতে ৪৪টি পরিবারের বসতি। আর খাসিয়ারা জবরদখল করে রেখেছে বাগানের ৩শ ৭১ একর জায়গা।

Manual7 Ad Code

এদিকে বাগানের লিজকৃত জায়গা সংকুচিত হওয়ায় টি বোর্ডের প্রতি বছর ২.৫% চা সম্প্রসারণ করার যে নির্দেশনা তা বাস্তবায়নে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে ঝিমাই চা বাগানে। শুধু তাই নয়, বাগান কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালে বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার ৯৬টি পরিপক্ষ গাছ কাটার জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ডের অনুমতি লাভ করে। কিন্তু খাসিয়ারা বাগানের গাছ কাটতে বাঁধা দেয় এবং নানা টালবাহানা শুরু করে।

খাসিয়ারা গাছ কাটা প্রতিরোধ করতে ২০১৫ সালে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করে। ২০১৭ সালে রুল ডিসচার্জ হয়। পরে ডিসচার্জ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল (নং ৪৫৮, ২০১৭) দায়ের করলে তাও বিগত ২০১৯ সালে নিষ্পত্তি হয়। খাসিয়ারা রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন (নং ৪০০, ২০১৯) দায়ের করলে গত ২০২১ সালে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে তাও খারিজ হয়ে যায়।

Manual8 Ad Code

খাসিয়ারা নানা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপনের ফলে টি বোর্ডের অনুমতি পাওয়ার ১২-১৩ বছর অতিবাহিত হলেও বাগান কর্তৃপক্ষ পরিপক্ক গাছগুলি কর্তন কিংবা হস্তান্তর কোন কিছুই করতে পারেনি। ফলে পরিপক্ক গাছগুলির বেশিরভাগই বিনষ্ট হচ্ছে।

Manual2 Ad Code

এব্যাপারে ঝিমাই চা বাগানের ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান জানান, বাগানের লিজকৃত ৩শ ৭১ একর জায়গা রানা সুরংয়ের নেত্বত্বে ৪৪টি খাসিয়া পরিবার জবর দখল করে রেখেছে। তারা বাগানের অভ্যন্তরে জায়গা জবর দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং ২০১০ সাল থেকে বাগানের পরিপক্ক গাছ কাটতে নানা টালবাহানা করে বাগানের উন্নয়ন কর্মকান্ড চরম বাধাগ্রস্থ করছে। এমনকি উচ্চ আদালতের রায়ের পরও তারা বাগানের বিরুদ্ধে নানা কুটকৌশল বন্ধ করেনি। বর্তমানে খাসিয়াদের বাঁধা ও বাগানের জায়গা দখলের কারণে বাগানের ৫শ ২৬ জন শ্রমিকের বাসস্থান বানানোর জন্য জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। টি-বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক চা চাষাবাদও বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে খাসিয়াদের বাঁধায় চরম বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বাগানের চা সম্প্রসারণ কার্যক্রম ও উন্নয়ন কর্মকান্ড।

এব্যাপারে ঝিমাই পুঞ্জির হেডম্যান রানা সুরং জানান, তারা যুগযুগ থেকে পাহাড়ে বসবাস করে আসছে। তারা বনের শত্রু নয় তারা বনের বন্ধু। গাছ লালন পালন আর পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ঝিমাই কর্তৃপক্ষ যদি গাছ কাটে তাহলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে ফলে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে।

Manual4 Ad Code

কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন জানান, উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ও টি-বোর্ড থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত ২০৯৬ টি গাছ কাটার চুড়ান্ত অনুমতির জন্য ঝিমাই চা বাগান কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছে। চুড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!