এইবেলা ডেস্ক::
বড়লেখা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লালপুর বায়তুন নুর জামে মসজিদ তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি এক যুগ ধরে বেআইনী ও মনগড়াভাবে পরিচালনা এবং মসজিদের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পঞ্চায়েতের ৬৫ জন মুসল্লি গত ২৯ আগষ্ট ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৭২ পরিবার নিয়ে লালপুর বায়তুন নুর জামে মসজিদ পরিচালিত হয়ে আসছে। স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল মতিন পাখি মিয়া ও মখলেছুর রহমান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে অনিয়ম-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় মানসম্মানের ভয়ে ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশংকায় পঞ্চায়েতের সাধারণ লোকজন তাদের অন্যায় কর্মকান্ড সহ্য করে যাচ্ছেন। প্রায় দুই মাস আগে তারা মুসল্লিদের (পঞ্চায়েত সদস্য) অবগত না করে আতাউর রহমান নামক ব্যক্তিকে মনগড়াভাবে অস্থায়ী ক্যাশিয়ার নিয়োগ করেন। এই তিন ব্যক্তিই ওযন মসজিদের সর্বেসর্বা। ইচ্ছামত তারা মসজিদের ক্যাশের টাকা তছনছ করেন। পঞ্চায়েতের লোকজন মসজিদের হিসেব-নিকেশ, আয়-ব্যয় জানতে চাইলে তারা পঞ্চায়েত সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে কোন সময় মারাত্মক উত্তেজনা সৃষ্টির আশংকায় গ্রামের ৬৫ ব্যক্তি উক্ত মসজিদ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের এবং মসজিদের ক্যাশের টাকা ব্যয় না করার প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগে স্বাক্ষর প্রদানকারী অব্দুর রূপ, ইন্তাজ আলী, নুরুজ আলী, আশরাফুল ইসলাম, ইমন আহমদ, আজিম উদ্দিন প্রমুখ জানান, দ্বিতীয় পক্ষগণ (আব্দুল মতিন পাখি মিয়া, মখলেছুর রহমান ও আতাউর রহমান) মসজিদে অপ্রীতিকর ও বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রতি শুক্রবারে ও বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজের সময় মসজিদে বহিরাগত লোকজন এনে ফৌজদারী অপরাধ সংগঠনের পায়তারা চালাচ্ছে। দ্রæত এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে তারা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ জানান, অভিযোগ তদন্তের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
Leave a Reply