কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সেনা সদস্যের বাডিতে ডাকাতির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সর্দারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল।
শনিবার ভোররাতে কমলগঞ্জ থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার মূলহোতা কমলগঞ্জ উপজলোর ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত গণি মিয়ার ছেলে কালন মিয়া (৪৩) গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃত ডাকাতের নামে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, চুরি ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভম্বের সোমবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পশ্চিম
বাঘবাড়ি গ্রামের সেনা সদস্য (পূর্বে র্যাব এ কর্মরত) সুনীল সিংহের বাড়িতে মুখোশধারী চার ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে বসতঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার বৃদ্ধ বাবা চন্দ্র সিংহ (৭৫), মা কৃষ্ণকুমারী সিনহা (৫৫), চাচী রাজকুমারী সিনহা (৫০) কে অস্ত্রের মুখে জমি করে হাত, পা বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেটসহ নগদ অর্থ লুঠ করে নিয়ে যায়। তাদের চলে যাওয়ার পর তাদের আর্তচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাদের ঘরের মধ্যে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। পরে বৃদ্ধার পরিবার ঘটনা খুলে বলেন।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। এরই প্রেক্ষিতে আসামীদরে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯, সিলেট চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতদের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। কমলগঞ্জ থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলার মূলহোতা কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত গণি মিয়ার ছেলে কালন মিয়া (৪৩) গেফেতার করে র্যাব। রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অধিনায়কের কার্যালয়, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-৯ সিলেট সদর দপ্তর থেকে প্রেস বিফিং এর মাধ্যমে তা জানানো হয়। পরে আসামী কালন মিয়াকে কমলগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর এ ঘটনায় সুনীল সিংহের পিতা বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির
নামে অভিযোগ দায়ের করার ৬ দিনের মাথায় ঘটনায় জড়িত ডাকাত সরদার কালন মিয়াকে
আটক করলো র্যাব সদস্যরা।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ সঞ্জয় চক্রবর্তী গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন।#
Leave a Reply