জুড়ী ট্র্যাজেডি : সোনিয়ার মৃত্যুতে বেঁচে রইলো না আর কেউ জুড়ী ট্র্যাজেডি : সোনিয়ার মৃত্যুতে বেঁচে রইলো না আর কেউ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
উপজেলা চালু থেকে বড়লেখায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন একই ধারায় বড়লেখায় উপজেলা চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান সিলেটের ১১ উপজেলায় বিজয়ীরা কে কতো ভোট পেলেন রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙগালীকে আলোর পথ দেখায়: পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী সিভিল সার্ভিস সোসাইটির সদস্যদের নিয়ে কমলগঞ্জে আরডব্লিউডিও’র সমাপনী সভা কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে চা দোকানীর সর্বস্ব পুড়ে ছাই কাতালোনিয়ার নির্বাচনে ইআরসির পক্ষে বাংলাদেশি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন কুলাউড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নেহার বেগমের রেকর্ড বড়লেখায় আজির উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত কুলাউড়া উপজেলায় সাহেদ রাজু ও নেহার বিজয়ী

জুড়ী ট্র্যাজেডি : সোনিয়ার মৃত্যুতে বেঁচে রইলো না আর কেউ

  • বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪

এইবেলা কুলাউড়া:: মৌলভীবাজারের জুড়ীত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। তার আগে মঙ্গলবার একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনসহ ৫ জন মারা যায়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল।

বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পূর্ব গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির বলেন, ‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশু সোনিয়া সুলতানাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ (বুধবার) ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।’

সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ জানান, সোনিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।’ তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি,’ যোগ করেন তিনি।

আগের দিনের নিহতরা হলেন—ফয়েজুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী সিরি বেগম (৪৫), তাদের মেয়ে সামিয়া বেগম (১৬) ও সাবিনা (১৩) এবং ছেলে সায়েম (১০)।

তাদের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে ফজর নামাজের পর ঝড়ের কবলে একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে টিনের বাড়িতে পড়লে পুরো বাড়ি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মইন উদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মাসুম বলেন, ‘মৃত ফয়জুর দিনমজুর ও বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন।’

মৌলভীবাজারের পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুতের লাইন বসানোর পর তারের নিচে ঘর করেছিলেন ফয়জুর। আমরা এখন বিদ্যুতের তারটি সরিয়ে নেব।’#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews