এইবেলা, কুলাউড়া :: নিরাপদ পানির স্থাপনা গভীর নলকূপ বন্টন ,স্থান নির্ধারণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচনে
কমিউনিটি সিসিউশন এনালাইসিস বা সিএসএ একটি গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।
নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহে সমতা ও ন্যায্যতা ভিত্তিক স্থান নির্বাচনে সিএসএ একটি আধুনিক ও সময় উপযোগী মেথড। পানির স্থাপনা নির্বাচনে সঠিক স্থান নির্ধারণ করতে পারলে সবার জন্য সব স্থানে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা সহজ হবে।
“আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করন” প্রকল্প পরিদর্শনে ওয়াশ ন্যাশনাল কনসালটেন্ট,ওয়াশ সেকশন ইউনিসেফ এর মোহামদ জাহিদ আলম কুলাউড়ায় ফিল্ড পরিদর্শণে উক্ত মতামত ব্যক্ত করেন।
জিওবি -ইউনিসেফ টিএ প্রকল্পের “আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসনে কমিউনিটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরন” প্রকল্পের আওতায় কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের “বাদে বকশিমইল কান্দি সিবিও”,কাদিপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কৈলারশি গ্রামের “মিয়ারমহল সিবিও” এবং কুলাউড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের গাজিপুর চা বাগান এলাকার “টিলা লাইন সিবিও” পরিদর্শণ করেন।
হাকালুকি হাওর এলাকার সিবিও এলাকার বিভিন্ন পানির উৎস,গভীর অগভীর নল্কূপ চা বাগান এলাকার পানি ব্যবস্থাপনা ব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত পাতকূয়া পরিদর্শন করেন। এ সময় উপকারভোগী, স্যোসাল লীডার, সিবিও কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃমহসিন এর সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় হাওর গ্রাম,পাহা্ড়, টিলা, খাসিয়া পুঞ্জি এবং চা বাগান এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ পানি,উন্নত স্যানিটেশন, হাইজিন প্রমোশন নিয়ে তিনি কথা বলেন ।
পরিদর্শণ শেষে বাস্তবায়নকারী বেসরকারী প্রতিষ্টান এশিয়া আর্সেনিক নেটওয়ার্ক (এএএন ) এরিয়া কার্যালয়ে এরিয়া ম্যানেজার, ইউনিয়ন সুপারভাইজা্র, ওয়াশ মটিভেটরদের সাথে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতসভায় মিলিত হন। এরিয়া ম্যানেজার মুহাম্মদ সাদেক সফিউল্লাহ বলেন কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর,রাউতগাও, ভূকশিমইল ও কুলাউড়া ইউনিয়নে জিওবি-ইউনিসেফ প্রকল্পে ইউনিসেফের অর্থায়নে নিরাপদ পানি, উন্নত স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রমোশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সকলের জন্য নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় উৎস স্থাপন, টেকসই রক্ষনাবেক্ষন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরনে কমিউনিটি মবিলাইজেশন গ্রুপ তৈরি ,টেকসই উন্নত স্যানিটেশন, সঠিক সময়ে দুই হাত ধোয়ার অভ্যাস, মানববর্য ব্যবস্থাপনাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্টান, কমিউনিটি হাইজিন প্রমোটর,সবাস্থ্যগত আচরনের উপর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, কমিউনিটির সম্পদ ব্যবহার, সরকারী বেসরকারী আর্থিক সহায়তায় আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে উক্ত ইউনিয়ন গুলোকে আর্সেনিক সেইফ ইউনিয়ন ঘোষনা এবং খোলা স্থানে মল ত্যাগ নয় শতভাগ ঘোষনা করা হবে।#
Leave a Reply