আব্দুর রব, বড়লেখা ::
মাধবকু- জলপ্রপাত ও ইকোপার্কে প্রবেশে সরকারী নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রতিদিন বিনোদনপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড় জমছে। পর্যটন পুলিশ ও স্থানীয় বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন বাধাই মানছেন না দুরদুরান্ত থেকে আগত পর্যটকরা। প্রধান ফটক তালাবদ্ধ তাকে কি, ভিন্ন পথে ঠিকই জলপ্রপাতে যাচ্ছে শত শত পর্যটক। আর তাদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ গত ১৭ মার্চ মাধবকু- ইকোপার্ক বন্ধ ঘোষণা করে। এরপরই প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় বনবিভাগ।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা, হবিগঞ্জ, নরসিংদি, শ্রীমঙ্গলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪-৫শ’ পর্যটক মাধবকু- ইকোপার্ক ও জলপ্রপাতের প্রধান ফটকে ভিড় করছেন। গেইট তালাবদ্ধ থাকায় অনেকে ভিন্ন পথে মুল জলপ্রপাতে পৌছার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মাধবকু- ইকোপার্কের প্রধান ফটকের সম্মুখে আদিবাসি খাসিয়া পল্লীর প্রবেশপথ রয়েছে। পর্যটন পুলিশ ও বনবিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাধা-নিষেধ উপেক্ষা করে খাসিয়া পুঞ্জির রাস্তা দিয়ে অনেকেই জলপ্রপাতে প্রবেশ করছে। দল বেধে পর্যটকরা ঝুকিপূর্ণ ফাঁড়ি পথে জলপ্রপাতে যাচ্ছে। বাধা দিতে গিয়ে পর্যটন পুলিশের সদস্যরা নাজেহাল হচ্ছেন।
হবিগঞ্জ থেকে আগত পর্যটক রহিম উদ্দিন, উস্তার আলী, রুহুল আমিন অভিযোগ করেন ‘আমরা চুরি করে ও পুলিশের সাথে দেন-দরবার করে মাধবকু-ে ঢুকলাম। কিন্ত ভিতরে ঢুকে ইজারাদারের কর্মচারীরা টোল আদায় করেছে।’ হবিগঞ্জের পর্যটক মঈনুল হাসান রতন জানান, দেশের হাট বাজার, শপিংমলসহ সকল বিনোদন কেন্দ্র ইতিপূর্বে খুলে দেয়া হলো। মাধবকু- জলপ্রপাত খুলে না দেয়ার কোন যুক্তি তিনি খোজে পাচ্ছেন না। পর্যটকের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে এ পর্যটন স্পটটি খুলে দেয়ার দাবী জানান।
বড়লেখা ফরেস্ট কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন। প্রতিদিন ৩/৪শ’ পর্যটক মাধবকু-ে ভিড় করছেন। তাদের সামাল দিতে বনবিভাগ ও পর্যটন পুলিশ হিমসিম খাচ্ছে।
পর্যটন পুলিশের এএসআই মোক্তার হোসেন জানান, বাধা-নিষেধ দিয়েও পর্যটকদের আটকাতে পারছেন না। বিভিন্ন পাহাড়ি পথে তারা জলপ্রপাতে ছুটে যাচ্ছে। অনেক সময় উত্তেজিত পর্যটকরা তাদের লাঞ্চিতও করছে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবধরনের জনসমাগম রোধে অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মাধবকু- জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক।#
Leave a Reply