আবদুল আহাদ ::
কুলাউড়ায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুলাউড়া পৌরসভা এবং ২টি ইউনিয়নের তিনটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণার পর লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। রেড জোন কৃত এলাকায় পুলিশ, স্কাউট্স সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা বাঁশের ব্যারিকেডে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার ১৭ জুন বিকেল ৪ ঘটিকা থেকে কুলাউড়া পৌরসভার মাগুরা আবাসিক এলাকা, বরমচাল ইউনিয়নের নন্দনগর গ্রাম এবং কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর আংশিক এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেড জোন এলাকা চিহিৃত করে লকডাউন কার্যকর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী। এসব এলাকার বাসিন্দাদের কেউ বাইরে যেতে বা বাইরে থেকে কেউ এ জোনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এ জোনের দোকানপাট, বিপণিবিতান, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় সব বন্ধ থাকবে। এছাড়া কৃষি পণ্যেবাহী যানবাহন, জরুরী সেবা ব্যতিত সর্বসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
লকডাউন কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী, বরমচাল ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব শাহজাহান, পৌরসভার কাউন্সিলর তানভীর আহমদ শাওন প্রমুখ।
প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, কুলাউড়ায় রেড জোনে রয়েছে, পৌরসভা এবং বরমচাল ইউনিয়ন। ইয়োলো জোনে রয়েছে উপজেলার জয়চণ্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও হাজীপুর ইউনিয়ন। গ্রিন জোনে রয়েছে উপজেলার ভূকশিমইল, ভাটেরা, কুলাউড়া সদর, রাউৎগাঁও, টিলাগাঁও, কর্মধা, পৃথিমপাশা ও শরীফপুর ইউনিয়ন।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুুতি নেওয়া হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে লোকজনদের সেবা দিতে হটলাইন সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। প্রয়োজনে রেডজোনে আওতাভুক্ত দরিদ্র পরিবারে খাদ্য ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। সরকারি ৪১ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি এলাকায় রেড জোন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সাথে পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কাউট্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন।
উলেখ্য, কুলাউড়া উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত সংগ্রহীত ৬২৪ টি স্যাম্পুলের রিপোর্টে ৫৩ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জন সুস্থ হয়েছেন এবং বাকিরা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Leave a Reply