এইবেলা, কুলাউড়া ::
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ভারতীয় সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্ট এওলাছড়া পানপুঞ্জির গভীর জঙ্গল থেকে ২৬ ডিসেম্বর শনিবার শিপন মালাকার (১৮) নামক এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক পাশ্র্ববর্তী পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের সিন্ধু মালাকারের ছেলে।
লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের লাশের পাশে এনি আক্তার (১৬) নামক কান্নারত এক কিশোরিকে পাওয়া যায়। পুলিশ লাশের সাথে তাকেও উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমিক যুগল পাহাড়ী এলাকা দিয়ে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এনি আক্তার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের কানিকিয়ারি গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে। তিনি আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে শিপন মালাকার ও এনি আক্তার নিখোঁজ। তাদের পরিবার তাদেরকে খোঁজে না পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। সকালে স্থানীয় লোকজন মারফত পুলিশ খবর পায় সীমান্তে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় যবকের লাশ ঝুলছে এবং পাশে বসে একটি মেয়ে কান্নাকাটি করছে।
কুলাউড়া থানার এসআই মহসিন তালুকদারসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। খবর পেয়ে তাদের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহ শিপন ও এনিকে শনাক্ত করেন।
লাশের পাশে অবস্থানরত কিশোরী এনি আক্তার জানান, শিপনের সাথে তার ২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তিনি বাড়ি রাগ করে শিপন মালাকারের সাথে ঘর ছাড়েন। কর্মধা ইউনিয়নের এওলাছড়া পানপুঞ্জি এলাকায় আসেন। ততক্ষণে রাত নেমে আসে। গহীন অরণ্যে হাটতে গিয়ে তিনি পা ফসকে টিলার নিচে পড়ে যান। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভোরে যখন তার জ্ঞান ফিরে তখন তিনি উপরে উঠে শিপনের লাশ গাছের সাথে ঝুলতে দেখেন।
কুলাউড়া থানার এসআই মাহসীন তালুকদার জানান, লাশের গায়ে অন্যকোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না। শিপনের পরণের সোয়েটার দিয়ে গলার সাথে ফাঁস লাগানো ছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ছেলেটি আত্মহত্যাই করেছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেয়েকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তূ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#
Leave a Reply