নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ের ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীর পারের পলি ও বেলে-দোঁআশ মাটির উর্বর জমিতে এবার রেকর্ড পরিমানে মরিচের আবাদ হয়েছে। ফলে কৃষকের চোখে-মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে মরিচের সবুজের সমারোহের এ মনকাড়া দৃশ্য বিমোহিত করছে সকলকে।
ভালো ফলনও বেশি দাম পেয়ে বেজায় খুশি এ উপজেলার মরিচ চাষিরা। গত মৌসুমে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেও এ ক্ষতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নব উদ্যমে আত্রাই উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মরিচ চাষিরা তাদের জমিতে মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ছোট যমুনা ও আত্রাই নদীসহ অন্যান্য নদীর অববাহিকায় দেখা গেছে মরিচ চাষের দৃশ্য।
সরেজমিনে বিভিন্ন মাঠগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে মরিচের দৃষ্টিনন্দন এ দৃশ্য। মরিচ ক্ষেতে কৃষকের ছোঁয়ায় আর সঠিক পরিচর্যায় গাছও হয়ে উঠেছে সুস্থ সবল। গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে মরিচের বাহার। এ দৃশ্য দেখে কৃষকের মন ভরে উঠেছে। অল্প করচে বেশি লাভের আশায় মরিচ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। দুপুর গড়াতেই মরিচ তুলে হাটে নিয়ে যাওযার প্রস্তুতি নেন কৃষকেরা। অনেকে আবার মরিচ তুলে নিয়ে বাড়িতে কিংবা জমিতে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। জমিতে পাইকারি বিক্রি করলে লাভ কম হয় বলেও জানান চাষিরা।
আত্রাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হওয়ায় এসব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নেই। সময়মতো বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়া আসায় কঠিন হয়ে দাড়াই এবং পরিবহন খরচও বেশি। তাই নায্যমূল্যে থেকে বঞ্চিত হয় মরিচ চাষিরা।
উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের মদনডাঙ্গা গ্রামের মরিচ চাষি মো. খোরশেদ বলেন, আত্রাই নদীর তীরে আমি ১০ কাঠা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। এতে আমার ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার টাকা। তবে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। প্রথম দিকে ৩৫ শত টাকা মণ দরে মরিচ বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ মরিচ ১৫ শত থেকে ১৬ শত টাকায়। তবে মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত আরোও প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন বলেও আশা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কেএম কাউছার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২২ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মরিচ চাষে কীভাবে ফলন বৃদ্ধি করা যায় এবং চাষিরা বেশি লাভবান হন সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই আমরা অফিসিয়ালভাবে কৃষকদেরকে সু-পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। #
Leave a Reply