এইবেলা, বড়লেখা ::
বড়লেখায় করোনাকালেও অবাধে চলছে প্রাকৃতির টিলা কর্তন। পরিবেশ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী অবৈধভাবে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছে। টিলার মাটিবাহী ট্রাক-ট্রাক্টরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। বিনষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবাসস্থল হারাচ্ছে জীব-জন্তু।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন যখন সরকারী নির্দেশনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই কতিপয় প্রভাবশালী পাহাড়ঘেষা এলাকার সরকারী-বেসরকারী টিলা কেটে মাটি বিক্রিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। টিলার মাটি কেটে বিক্রি করায় প্রকৃতির ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। আবাসস্থল হারাচ্ছে পাখপাখালি। অতিবর্ষনে ভুমিধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। মাটিবাহী ট্রাক-ট্রাক্টরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির (কাঠালতলী) পূর্বগৌড় নগর গ্রামের নজাবত আলী মাস্টারের বাড়ির পাশের একটি বিশাল প্রাকৃতিক টিলা কাটতে কয়েকজন শ্রমিককে দেখা যায়। ৩টি ট্রাক্টর মাটি পরিবহনে নিয়োজিত। একটি ট্রাক্টরের চালক ও মালিক নাইম হোসেন জানান, টিলার মালিক অনুমতি দেয়ায় তারা মাটি কেটে কাঠালতলী বাজারে একটি ভিটা ভরাচ্ছেন। টিলা কাটায় নিষেধাজ্ঞার বিষয় তাদের জানা নেই। টিলার মালিক নজাবত আলী মাস্টারের ছেলে কামরুল ইসলাম জানান, টিলা কাটতে না দিলে তারা ঘরদোয়ার বানাবেন কিভাবে। পাশ্ববর্তী বিওসি কেছরীগুল এলাকায়ও একাধিক স্থানে অবৈধভাবে টিলা কাটতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিদিন একাধিক ট্রাক/ট্রাক্টরে মাটি পরিবহণ করায় চলাচলের রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। টিলাখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিষেধ দিতে তারা ভয় পান। ফলে বাধ্য হয়েই তারা দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন।
ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, পরিবেশ আইন অনুযায়ী সরকারী কিংবা বেসরকারী কোনধরণেরই টিলা কাটা যাবে না। ইতিমধ্যে টিলা কাটার অভিযোগে কয়েকজনকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড দিয়েছেন। টিলা কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
Leave a Reply