করোনাকালেও থেমে নেই বড়লেখায় টিলাকাটা করোনাকালেও থেমে নেই বড়লেখায় টিলাকাটা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা কমলগঞ্জে দূর্গন্ধযুক্ত ও পঁচা টিসিবির চাল বিতরণের অভিযোগ লন্ডনে সার্কেল পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ও সরপঞ্চ বিষয়ক স্মারকগ্রন্থ কালের অভিজ্ঞান-এর মোড়ক উন্মোচন বড়লেখায় এনসিসি ব্যাংকের বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ  মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আজমল আলী সেন্টু অস্ত্রধারীর গুলিতে মারা গেলেন নিউইয়র্ক পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে বড়লেখা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা ও মেডিকেল ক্যাম্প সরকারি কাজে বাঁধা ও ইউএনওকে হুমকি ওসমানীনগরে এক সমন্বয়েকর ২ মাসের কারাদন্ড অবৈধ অনুপ্রবেশ- বড়লেখা সীমান্তে নারী ও শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গা নাগরিক আটক অদম্য মেধাবী : চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে দারিদ্রতা অনন্যার প্রতিবন্ধকতা

করোনাকালেও থেমে নেই বড়লেখায় টিলাকাটা

  • শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০

এইবেলা, বড়লেখা ::

বড়লেখায় করোনাকালেও অবাধে চলছে প্রাকৃতির টিলা কর্তন। পরিবেশ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কতিপয় প্রভাবশালী অবৈধভাবে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছে। টিলার মাটিবাহী ট্রাক-ট্রাক্টরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট। বিনষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ, আবাসস্থল হারাচ্ছে জীব-জন্তু।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন যখন সরকারী নির্দেশনা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই কতিপয় প্রভাবশালী পাহাড়ঘেষা এলাকার সরকারী-বেসরকারী টিলা কেটে মাটি বিক্রিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। টিলার মাটি কেটে বিক্রি করায় প্রকৃতির ভারসাম্য মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। আবাসস্থল হারাচ্ছে পাখপাখালি। অতিবর্ষনে ভুমিধসের আশংকা দেখা দিয়েছে। মাটিবাহী ট্রাক-ট্রাক্টরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির (কাঠালতলী) পূর্বগৌড় নগর গ্রামের নজাবত আলী মাস্টারের বাড়ির পাশের একটি বিশাল প্রাকৃতিক টিলা কাটতে কয়েকজন শ্রমিককে দেখা যায়। ৩টি ট্রাক্টর মাটি পরিবহনে নিয়োজিত। একটি ট্রাক্টরের চালক ও মালিক নাইম হোসেন জানান, টিলার মালিক অনুমতি দেয়ায় তারা মাটি কেটে কাঠালতলী বাজারে একটি ভিটা ভরাচ্ছেন। টিলা কাটায় নিষেধাজ্ঞার বিষয় তাদের জানা নেই। টিলার মালিক নজাবত আলী মাস্টারের ছেলে কামরুল ইসলাম জানান, টিলা কাটতে না দিলে তারা ঘরদোয়ার বানাবেন কিভাবে। পাশ্ববর্তী বিওসি কেছরীগুল এলাকায়ও একাধিক স্থানে অবৈধভাবে টিলা কাটতে দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিদিন একাধিক ট্রাক/ট্রাক্টরে মাটি পরিবহণ করায় চলাচলের রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। টিলাখেকোরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিষেধ দিতে তারা ভয় পান। ফলে বাধ্য হয়েই তারা দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন।

ইউএনও মো. শামীম আল ইমরান জানান, পরিবেশ আইন অনুযায়ী সরকারী কিংবা বেসরকারী কোনধরণেরই টিলা কাটা যাবে না। ইতিমধ্যে টিলা কাটার অভিযোগে কয়েকজনকে অর্থদন্ড ও কারাদন্ড দিয়েছেন। টিলা কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews