বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কমলগঞ্জে ভারতীয় মদসহ আটক ২ সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে দূর্ঘটনায় এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু বড়লেখায় ৯ মাসের পাকার কাজ ১৩ মাসে ৩ ভাগ! ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় চরম ভোগান্তি কমলগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত : আহত ২ : আটক ৩ জন কুলাউড়ায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার কুলাউড়ায় এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে ৩টি প্রতিষ্ঠান ৩ মাস থেকে ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন-বেতন বন্ধ কুলাউড়ার নবারুন আদর্শ বিদ্যাপীটের সভাপতির প্রবাস গমন উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো খাসিয়াদের বর্ষবিদায় উৎসব “সেং কুটস্নেম” বড়লেখায় শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশনের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ও পুরস্কার বিতরণ

বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান

  • রবিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

‘৭১ এর মহান মুক্তিযোদ্ধের রণাঙ্গনে দুঃসাহসী ও বীরত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করলেও ইউপি নির্বাচনে ৩ বার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেও সফল হতে পারেননি। অবশেষে ৭৮ বছর বয়সে চতুর্থবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারাস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন হাকালুকি হাওরপাড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান। তিনি তৃতীয় ধাপে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। তিনিই বড়লেখার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান। বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান জীবনের শেষ বয়সে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বড়লেখার সকল মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলে আনন্দের বন্যা বইছে।

জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান তালিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধে সীমান্তের ওপারে লোহারবন ক্যাম্পে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষক ছিলেন। বারপুঞ্জিতে কোম্পানী কমান্ডারের দায়িত্ব পালন কালিন নিজ গ্রামে পাক-বাহিনী প্রবেশ করে নির্বিচারে আপন দুই চাচাসহ প্রতিবেশি হত্যার খবর পেয়ে আর স্থির থাকতে পারেননি। স্বশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অস্ত্র হাতে ছুটে আসেন গ্রামে। হাকালুকি হাওরে পাঞ্জাবীদের সাথে ঘটিত সম্মুখযুদ্ধে তিনি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তার সঠিক নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী অর্ধশতাধিক পাকিস্থানীকে হত্যা করে।

বিয়ানীবাজারের সারপারের সম্মুখযুদ্ধেও তার হাতে অনেক পাঞ্জাবী মেলিটারী নিহত হয়। দেশ স্বাধীনের পর যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। ১৯৭৫ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় মর্মাহত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান সেচ্ছায় চাকুরি ছেড়ে আওয়ামী লীগে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নাম লেখান। এলাকায় জনসেবামুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮৪, ১৯৯৬ ও ২০১১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আশ্বাসে ওই সময় নির্বাচন করেননি। ২০২১ সালে ‘নৌকা’ প্রতীক না পাওয়ায় চতুর্থবার ‘নৌকা’র বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৮ বছর বয়সে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান জানান, ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলের নেতৃবৃন্দ আশ্বাস দিলেও ২০২১ সালের নির্বাচনে আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করেছেন। জীবনের শেষ নির্বাচন ‘নৌকা’ নিয়ে করতে না পারার আক্ষেপ থেকেই গেল। আমাকে নির্বাচিত করতে উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবার ও সন্তানরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন। বৃদ্ধ বয়সে জনগণের এ মূল্যায়নের প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews