বড়লেখা প্রতিনিধি :
বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করায় দোষী সাব্যস্ত করে চা শ্রমিক নারী আসামী শ্রাবন্তী উড়িয়ার বিরুদ্ধে ব্যতিক্রমী রায় ঘোষণা করেছেন। আসামীকে এক বছর প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকার এবং রায়ের এক মাসের মধ্যে ২১টি ওষুধি ও ভেজষ গাছের চারা রোপন, দেখাশুনা ও রক্ষণাবেক্ষণের আদেশ দেওয়া হয়। দন্ডিত শ্রাবন্তী উড়িয়া (২৪) উপজেলার পাথারিয়া চা বাগানের ধলছড়ি গ্রামের রুবেল উড়িয়ার স্ত্রী। সোমবার বিকেলে আদালত ‘দি প্রবেশন অব অফেন্ডার্স ওডিন্যান্স, ১৯৬০ এর ৫’ ধারার বিধান অনুযায়ী এ আদেশ জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ মার্চ পুলিশের একটি রেইডিং পার্টি নিউ সমনবাগ চা বাগানের রাজনগর গ্রামের মিঠুন রাজভরের বসতঘর অভিযান চালিয়ে ৯ লিটার চোলাই মদসহ শ্রাবন্তী উড়িয়াকে আটক করে। এ ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম আটক শ্রাবন্তী উড়িয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। প্রায় ২ মাস হাজত বাসের পর আসামী শ্রাবন্তী উড়িয়া জামিনে মুক্তি পান। সোমবার আদালতে মামলা চার্জগঠন কালে আসামী সরল বিশ্বাসে দোষ স্বীকার করে নেন। পরে আদালত পাঁচ শর্তে আসামী শ্রাবন্তী উড়িয়াকে অপরাধ থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। তবে দন্ডিত আসামী যে কোনো একটি শর্ত ভঙ্গ করলেই প্রবেশন বাতিল হবে।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট গোপাল দত্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলার নারী আসামীকে ১ বছরের প্রবেনশন আদেশ প্রদানের সত্যতা স্বীকার করেন।#
caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121caller_get_posts is deprecated. Use ignore_sticky_posts instead. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
Leave a Reply