বড়লেখায় প্রতারক তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা বড়লেখায় প্রতারক তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার দূত হলেন অভিনেত্রী নওশাবা জুড়ীতে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল  কমলগঞ্জে আলোচিত পূর্ণিমা রেলী হত্যাকান্ড : ডনের স্বীকারোক্তিতে দা উদ্ধার কমলগঞ্জে টিলাকেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর; দুর্ঘটনার আশঙ্কা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কমলগঞ্জ পৌরসভায় ৩০৮১ পরিবারের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ কুড়িগ্রামে জিআরের চাউলের স্লিপ নেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৬ নিটার প্রশাসনের ইফতার মাহফিল আয়োজনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ  নাগেশ্বরীতে স্থানীয় ব্যবসায়িকদের সাথে সংবেদনশীলতা সভা কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার  সোনালী ব্যাংক বড়লেখা শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী ও অসদাচরণের অভিযোগ

বড়লেখায় প্রতারক তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা

  • মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বড় ভাইয়ের কোটি টাকার বিল্ডিং আত্মসাত!

বিশেষ প্রতিনিধি ::

বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারের ‘জামাল প্লাজা’র কথিত মালিক সেই প্রতারক তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন মৌলভীবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গত রোববার ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহ মৌলভীবাজারের ভুক্তভোগী নওশাদ মিয়ার প্রতারণা মামলায় প্রতারক তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতের প্রতারণা মামলাসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ বাজারস্থ কাতার প্রবাসী জামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ‘জামাল প্লাজায়’ বসবাস করেন তারই ছোটভাই নানা অপকর্মের নায়ক প্রতারক তাজ উদ্দিন। বড়ভাইয়ের মালিকানাধীন ‘জামাল প্লাজা’ নিজের বলে চালিয়ে কখনও ভাড়া, সাব-লীজ এমন কি বিক্রয়ের কথা বলে বিভিন্ন সহজ সরল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক তাজ উদ্দিন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার করম উল্লাহপুর গ্রামের মৃত আনর মিয়ার ছেলে মো. নওশাদ মিয়া ও হবিগঞ্জের তানজিম আহমদকে মাসিক ৬০ হাজার টাকা ভাড়ায় ১২ বছরের জন্য ২০ লাখ টাকা চুক্তিতে ‘জামাল প্লাজা’ ভাড়া দেয় তাজ উদ্দিন। ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তাজ উদ্দিন চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করে নওশাদ ও তানজিমের নিকট থেকে ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করে। শর্ত অনুযায়ী টাকা পেয়েই জামাল প্লাজা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্ত টাকা গ্রহণ করেও ভুক্তভোগি নওশাদকে মার্কেটসহ জামাল প্লাজা বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করে তাজ উদ্দিন। এরই মধ্যে অন্য কয়েকজনের সাথে জামাল প্লাজা ভাড়া ও বিক্রির পায়তারা শুরু করলে ভুক্তভোগী নওশাদ প্রতারক তাজ উদ্দিনের ওপর চাপ দিতে থাকেন। আজ নয় কাল করে প্রায় দেড় বছর নওশাদতে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে অগ্রিম টাকা গ্রহণ ও চুক্তিপত্রের কথা অস্বীকার করে তাজ উদ্দিন ও তার সহযোগিরা নওশাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। অবশেষে তিনি প্রতারক তাজ উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা মামলা করেন। এই মামলায় প্রতারক তাজ উদ্দিনের সহযোগী জনৈক মোতাহির মিয়া ও রাহেলা সিদ্দিকাকেও আসামী করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) প্রেরণ করেন। পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গত ৩০ জানুয়ারী প্রতারক তাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, তাজ উদ্দিন আপন বড়ভাই কাতার প্রবাসী হাজি জামাল উদ্দিনের দক্ষিণভাগ বাজারস্থ প্রায় দুই কোটি টাকার ‘জামাল প্লাজা’ ২তলা মার্কেটসহ ৩০ শতাংশ ভূমি জামাল উদ্দিন সেজে ২০১৮ সালে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে রেজিষ্ট্রী করে নেয়। বিল্ডিংয়ে ভাইয়ের নাম পরিবর্তন করে জামাল প্লাজার স্থলে তাজমহল নামকরণ করে। জামাল উদ্দিনের কোটি টাকার বিল্ডিং আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হলে সাবরেজিষ্ট্রের অফিসসহ উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তীতে এই জাল দলিল দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মার্কেটের কিছু অংশ বিক্রির কথা বলে বায়নামা দলিল করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে থাকে। যারা ক্রয় করার জন্য বায়নামার টাকা দিয়েছে তারা দলিল তল্লাশি করতে গিয়ে জানতে পারেন তার নামীয় দলিলটি জাল। তার হয়রানীর শিকার ভুক্তভোগীদের বিচার সালিশকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও সে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছে। গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতারক তাজ উদ্দিনের দায়েরি একাধিক মিথ্যা মামলা আদালতে খারিজ হয়েছে।

এই সেই তাজ উদ্দিন, যে ২০০৮ সালে কাতারে নারীঘটিত কেলেংকারীতে ধরা পড়ে হাজতে যায়। দীর্ঘ হাজত বাসের পর কাতার সরকার তাকে কাতারে নিষিদ্ধ করে দেশে পাঠিয়ে দেয়। এরপরও তাজ উদ্দিন স্বভাবসুলভ প্রতরণা থামায়নি। দেশে এসে হরি বাহাদুর তাড়ু নামে নেপালী পাসপোর্টে আবার কাতারে প্রবেশ করে। অভিযোগ রয়েছে তার একাধিক নামে পাসপোর্ট রয়েছে। বাংলাদেশী শ্রমিকদের নেপালী পাসপোর্টে কাতার নিয়ে কাজ করাতো। মজুরি চাইলেই পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভাগিয়ে দিত। এর আগে প্রতারক তাজ উদ্দিন কাতার থেকে অবৈধপথে হল্যান্ড গমন করে। সেখানে অবৈধ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে হল্যান্ড পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে যায়। সেখান থেকে ইন্টারপুল পুলিশের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশে এনে এয়ারপোর্ট পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এয়ারপোর্ট পুলিশ তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে। কিন্তু বেরিয়ে এসে পুনরায় প্রতারণা চালিয়ে সহজ সরল মানুষকে পথে বসাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের একাধিক প্রতারণা মামলা বিভিন্ন আদালতে চলমান রয়েছে।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews