এইবেলা, কুলাউড়া ::
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মৌলভীবাজারের কবি, লেখক ও গবেষক আহমদ আলীর লেখা ১০ম গ্রন্থ “আমাদের বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ” শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোঃ আবু জাফর রাজু। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, কুলাউড়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য সজল, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, প্রেসক্লাব কুলাউড়ার সভাপতি আজিজুল ইসলাম, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, পল্লী চিকিৎসক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তালুকদার, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জীবদ্দশায় তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং সেবামূলক সকল কর্মকান্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তথ্যবহুল এই গ্রন্থটি লেখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গ্রন্থটি লেখক আহমদ আলী বঙ্গবন্ধুর কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করেছেন।
উল্লেখ্য, লেখক ও গবেষক আহমদ আলীর জন্ম ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। জন্মের মধ্যেই তাঁর দেশের চেতনা! বাবার সরকারী চাকুরীর সুবাধে ঘুরেছেন ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন অঞ্চল, সঞ্চয় করেছেন অভিজ্ঞতা আর এখান থেকেই লেখার স্পৃহা। পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে লেখাসহ বিভিন্ন বইপত্র নিয়ে কাটাতেন অবসর সময়। কবিতা গল্পের সাথে যোগ হয়েছে প্রকৃতি আর গবেষণা। গ্রাজুয়েশন শেষে কিছুদিন সাংবাদিকতা করেন। সংশ্লিষ্ট হন বেতাওের। লেখাপড়া ছাড়া হয়নি-পড়েছেন এখনো এল এলবি, মাস্টার্স করারও ইচ্ছে রয়েছে। বাবার মতো নিজেও সরকারি চাকুরীতে আত্মনিয়োগ করেন, পাশাপাশি লেখালেখি আর সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সম্পাদনায়ও নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন। তাঁর সম্পাদিত ‘নিসর্গ’ ও ‘বৈশাখী’ বিদগ্ধজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। তাঁর লেখা উপন্যাস ‘সাথীর বিজয়’, ‘কোন বাগানের ফুল’, ‘যাত্রাবিরতি’ এবং কবিতার বই ‘উদাস মন ফাল্গুনে’ এরপর ২০১১ সালে
গবেষণা গ্রন্থ ‘বাংলাদেশের বন ও বনায়ন’ একুশে বইমেলায় প্রকাশ করে একুশে বাংলা প্রকাশন। ২০১২ সালে তাঁর গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘সব্যসাচী মীর লিয়াকত’ প্রকাশিত হলে তিনি আলোচনায় উঠে আসেন। জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর কবীর চৌধুরী, বিচারপতি আব্দুর রউফ, চীফ উইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, কবি বেলাল চৌধুরী, কবি আল মাহমুদসহ দেশবরেন্য ব্যক্তিবর্গের সান্নিধ্যে আসেন। বিশিষ্টজনদের প্রশংসায় তিনি আপ্লুত হন। এরপর তাঁর উপন্যাস ‘কোন বাগানের ফুল’ সাহিত্যমোদীদের কাছে আদৃত হয়। ২০১৭ সালে সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বিনোদন স্টার এ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৮ সালে বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক মাদার তেরেসা স্বর্ণপ্রদক লাভ করেন।#
Leave a Reply