কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লা লতিফের বিরুদ্ধে দলিল প্রতি ঘুষ বানিজ্য ও অসদাচরণ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষনা দিয়েছে কমলগঞ্জ দলিল লেখক সমিতি। সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুর থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করে দলিল লেখা বন্ধ রেখেছে উপজেলার দলিল লেখকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা।
কমলগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর মো. বখতিয়ার খাঁন সাংবাদিকদের জানান, দলিল রেজিস্ট্রি করাতে গেলে দলিল প্রতি অতিরিক্ত টাকা দাবি করে সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লা লতিফ। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র আরএস ফর্সার সাথে নামের একটা অক্ষর ভুল থাকলেও তাকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। নাহলে তিনি দলিল রেজিস্ট্রি করে না। প্রতিটি দলিল দাখিল করার আগে তার সাথে কন্টাক্ট করা লাগে না করলে দলিল হয়না।
এছাড়া তার ব্যবহারও সম্মানজনক নয়, দলিল দাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিলে তিনি গ্রহন করেন না। এসব বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করলে এজলাস থেকে আমার দিকে তেড়ে আসেন তখন অন্য দলিল লেখকরা এগিয়ে এলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন ভার্সিটির গন্ধ নাকি এখনো যায়নি। আমরা তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।
দলিল করতে আসা শমশেরনগর বাজারের মো. মনির হোসেন জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে আফরোজ আলী ও আরএস ফর্সায় আফরোজ মিয়া থাকায় প্রত্যায়নপত্র প্রদান করার পরও টাকা দাবী করেন সাব রেজিস্ট্রার।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার রহমত উল্লা বলেন তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। দলিল লেখক সমিতির সভাপতিকে লাঞ্চিতের বিষয়ে তিনি তা সঠিক নয় বলে জানান।
তবে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার সোহেল রানা বলছেন তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়।
মাদারীপুর এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা রেজিস্ট্রার এস, এম, সোহেল রানা মিলন বলেন, বিষয়টি আমি এখনো জানি না। তবে এখানে অনিয়ম বা দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ এই ধরনের কোন কাজ করে থাকে তাহলে আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেবো। জনগন যেন আর ভোগান্তির শিকার না হয় দ্রুত সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply