বড়লেখা প্রতিনিধি:
বড়লেখায় জোরপূর্বক ভু-সম্পত্তি রেজিষ্ট্রী করে নিতে ব্যর্থ হয়ে মাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনকারী এবং হত্যা চেষ্টাকারী অত্যাচারী সেই ছেলে আব্দুস শুকুরের অবশেষে ঠাঁই হয়েছে কারাগারে। ১ বছরের সাজা (সশ্রম) মাথায় নিয়ে প্রায় আড়াই বছর ধরে সে পালিয়েছিল। সোমবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্থন করে আপিলের নিমিত্তে¡ সে জামিন প্রার্থনা করে। বিজ্ঞ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হক তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আব্দুস শুকুর উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বারহালী গ্রামের সফিক উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আব্দুস শুকুর মা ছমরুন নেছার বিষয় সম্পত্তি জোরপূর্বক নিজের নামে রেজিষ্ট্রী করে নিতে ব্যর্থ হয়ে তার ওপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পাষন্ড ছেলে আব্দুস শুকুর বিষয় সম্পত্তি রেজিষ্ট্রী করে না দেয়ায় মা ছমরুন নেছাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং ঘরে থাকা মায়ের জমি বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ছেলের নির্যাতনে বৃদ্ধা ছমরুন নেছার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। এঘটনায় ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর আহত ছমরুন নেছা অত্যাচারী ছেলে আব্দুস শুকুরকে প্রধান আসামী করে আদালতে মামলা (সি.আর-২১৫/২০১৭) করেন। স্বাক্ষ্যপ্রমাণে দন্ডবিধির ৩২৩ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আসামী আব্দুস শুকুরের বিরুদ্ধে আদালত ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করেন। এরপরই সে আত্মগোপন করে।
বড়লেখা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পুলিশের সিএসআই মো. মুজিবুর রহমান জানান, মায়ের মামলায় ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ছেলে আব্দুস শুকুর দীর্ঘদিন সাজা মাথায় নিয়ে পালিয়ে ছিল। সোমবার আদালতে হাজির হয়ে আপিলের নিমিত্ব সে জামিন চায়। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply