বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলা : আড়াই বছর পর ১ আসামি গ্রেফতার – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জুড়ীতে সোনালী অতীত ফুটবল লীগ- জুড়ী দক্ষিণকে হারিয়ে জুড়ী উত্তর চ্যাম্পিয়ন বিজিবির অভিযান- আড়াই টন ভারতীয় পেঁয়াজসহ পিকআপ ভ্যান আটক বড়লেখায় পৃথক দুটি কাব্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন জুড়ীতে বিজিবি-পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ কুলাউড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু প্রেসবিজ্ঞপ্তি জাল- জানেন না জেলা আহ্বায়ক : ফেইসবুকে তোলপাড় ! বড়লেখায় পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধে ৩ ঘন্টা ভোগান্তি : অবশেষে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ বড়লেখায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে র‌্যালি ও সভা উলিপুরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড কমিটি গঠন

বড়লেখায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলা : আড়াই বছর পর ১ আসামি গ্রেফতার

  • বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০২০

Manual3 Ad Code

আব্দুর রব, বড়লেখা ::

বড়লেখার হাকালুকি হাওড়পাড়ে প্রায় আড়াই বছর আগে ২ সন্তানসহ কাতার প্রবাসীর স্ত্রী মাজেদা বেগমের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। পুলিশ বসতঘর থেকে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। চাঞ্চল্যকর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার ৩ দিন পর নিহত মাজেদার চাচাতো ভাই ইমরান আলী ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। কিন্তু মূল আসামিরা কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Manual4 Ad Code

প্রায় ৭ মাস আগে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তরিত হয়। এরপর মামলার ৪ নম্বর আসামি সুন্দর আলীকে (২৩) ২৬ জুলাই রাতে উপজেলার সুজানগর ইউপির আজিমগঞ্জ বাজার থেকে সিআইডি’র মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার মূলরহস্য উদঘাটনে সুন্দর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর উপজেলার সুজানগর ইউপির ভোলারকান্দি গ্রাম থেকে কাতারপ্রবাসী আকামত আলীর স্ত্রী মাজেদা বেগম (৩৬), মেয়ে লাবণী বেগম (৭) ও ছেলে ফারুক আহমদের (৪) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধু মাজেদার চাচাতো ভাই ইমরান আলী ২১ ডিসেম্বর থানায় মামলা করেন। এতে মাজেদার চাচা শ্বশুর শরাফত আলীকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার পর ওই বাড়ির ৩ নারীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য উদঘাটিত না হওয়ায় মা-সন্তানসহ ৩ জনের মৃত্যুকে ঘিরে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়। তবে এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারণা করেন। কিন্তু মৃত্যু রহস্যের কূল-কিনারা করতে পারেনি থানা পুলিশ। কয়েক মাস পর মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ স্থানান্তরিত হয়। পিবিআই’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছর খানেক তদন্ত করে আদালতে অসাড় প্রতিবেদন দাখিল করায় আদালত পর্যালোচনা পূর্বক স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। প্রায় ৭ মাস আগে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস। এরপর প্রযুক্তির সহায়তা ও ছদ্মবেশ ধারণ করে মামলার এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি সুন্দর আলীকে গ্রেফতার করেন। সুন্দর আলী নিহত মাজেদা বেগমের দেবর।

Manual5 Ad Code

তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, ‘মামলাটি চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলা। মূল আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকায় বিচার পাওয়ার বিষয়টি অন্ধকারে ছিল। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে প্রযুক্তির সহায়তা ও ছদ্মবেশ ধারণ করে ঘটনায় জড়িত একজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও পলাতক অপরাপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য তাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের নিমিত্তে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।’#

Manual4 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন


Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/eibela12/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code