কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের রেলিটিলায় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কনের গালে চুমু দিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করেছে আপন চাচাতো বোন। এসময় মেয়েকে রক্ষা করতে দৌড়ে আসলে কনের মায়ের মুখেও অস্ত্রের আচড় চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহত কনে ও মাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ০৫ মার্চ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ ঘটিকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শমশেরনগর চা বাগানের রেলিটিলার সুর নারায়নের কনে সীমা রেলি (২১) এর বিয়ে ছিল বুধবার (৬ মার্চ)। মঙ্গলবার রাতে সীমার গায়ে হলুদের আসর বসে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষে ঘরে আসার পর পাশর্বর্তী ঘরের নেচু রেলি ওরপে বৃষ্টি (২৫) পেছনের দরজা দিয়ে কনে সীমা রেলিকে চুমু দিতে ডাক দেয়। এ সময়ে দরজা খুলে বের হলে নেচু রেলির হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কনে সীমা রেলির গলায় আছড় দিলে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। সীমার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে দৌড়ে গেলে মা রীনা রেলি (৫৮) এর মুখে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে কনে সীমা ও মা রীনা রেলিকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে চাচাতো বোনের সাথে কি নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক এসআই জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অভিযুক্ত নেচু রেলিকে আটকের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শমশেরনগর ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী জানান, বুধবার ঠাকুরগাঁও জেলার বরের সাথে সীমা রেলীর বিয়ের কথা ছিল। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় বিয়ের তারিখ পরিবর্তন করে ২৮ ফাল্গুন ধার্য্য করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আকনজী বলেন, ঘটনা শুনে বিয়ে বাড়িতে পুলিশ যায় এবং আসামি আটকের জন্য জোর চেষ্টা চলছে।#
Leave a Reply