ইবি ডেস্ক :: মনু নদীতে পানি কমলেও এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে বাড়ছে পানি। এদিকে মনু নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলায় মানুষকে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, স্কাউটস। এর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে।
মনু নদীতে পানি কিছুটা কমায় শুক্রবার দুপুর ১২টার পর থেকে কুলাউড়া উপজেলার সাথে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। তবে কমলগঞ্জ উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
এদিকে মনু নদীর পানি কিছুটা কমলেও দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় জর্জরিত হাকালুকি হাওর তীরে ফের পানি বাড়ছে হুহু করে। গত ৪৮ ঘন্টা হাওর তীরে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। হাওর তীরে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার বন্যার পানি বাড়ায় তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। প্রায় ৩ মাস হাকালুকি হাওর তীরের মানুষ দীর্ঘস্থায়ী ও ভায়াবহ বন্যা কবলিত ছিলেন। হাওরে যখন বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে,মম ঠিক তখনই মনু নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। মনু নদীর সেই পানি হাকালুকি হাওরে গিয়ে পড়লে হাওরেও পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। ফলে হাওর তীরের মানুষের মধ্যে আবারও বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কুলাউড়া পৌরসভা, ভুকশিমইল ও জয়চন্ডী ইউনিয়নে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার পাশাপশি বাড়িঘরেও পানি উঠা শুরু হয়েছে।
মনু নদীর ভাঙন কবলিত এলাকায় শুক্রবার স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা প্রচেষ্টা ও ওয়াফের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে টিলাগাঁও ইউনিয়নের মিয়ারপাড়া, খন্দকারের গ্রাম ও হাজিপুর গ্রামে।
কুলাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শিমুল আলী জানান, উপজেলার বন্যাক্রান্ত মানুষের জন্য ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দি মানুষদেরকে উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত ২৩ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। নগদ টাকাসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। পানিবন্দি সকলের কাছে সবধরণের সহায়তা পৌছে দিতে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও জানান, ৭টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে ৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৫১ পরিবার, টিলাগাঁও ইউনিয়নে ৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৩০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধেও গবাদি পশু নিয়ে আশ্রিত আছে মানুষ।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম জানান, ২৩ আগস্ট শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত মনু নদী কুলাউড়া রেলব্রীজে বিপদ সীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া মৌলভীবাজার চাঁদনীঘাট এলাকায় বিপদ সীমার ১১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জুড়ী নদী বিপদ সীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।#
Leave a Reply