এইবেলা, কুলাউড়া :: মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই চা বাগানের স্টোর ক্লার্ক কর্মকর্তার একাধিকবার ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগানের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উত্তেজনা থামাতে ওই কর্মকর্তাকে বাগান ব্যবস্থাপক ছুটিতে পাঠালেও থামছে না উত্তেজনা। বাগানের হিন্দু মুসলিম সবার একটাই দাবি বিতর্কিত ওই কর্মকর্তার অপসারণ।
জানা যায়, কেদারপুর গ্রুপে মালিকানাধীন ঝিমাই চা বাগানের স্টোর ক্লার্ক ও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার কামাইছড়া চা বাগানের মানিক কুমার ভরের ছেলে সুমন কুমার ভর (৩৮) ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল এফিডেবিট করে হিন্দু থেকে স্ত্রী সন্তানসহ মুসলমান হন। ১৫ রমযান কুলাউড়া দক্ষিণবাজার জামে মসজিদে বাদ আছর তিনি কালেমা পড়েন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর সুমন কুমার ভরের নাম পরিবর্তণ করে মো: আব্দুর রহমান এবং তার স্ত্রী শ্রাবন্তী গোয়ালার নাম পরিবর্তণ কওে আমেনা বেগম রাখা হয়। তাদের সাথে একমাত্র কন্যাসন্তানও ধর্মান্তরিত হন।
ধর্মান্তরিত হওয়ার পর মুসলমান রীতিতে ভালোই কাটছিলো নও মুসলিম আব্দুর রহমানের পরিবারের দিনকাল। বাগানের মুসলমানরা তাকে বাসায় বাসায় দাওয়াত খায়ানোর পাশাপশি সার্বক্ষণিক সকল ধর্মীয় কর্মকান্ডে তাকে রাখতেন।
চলতি রমযান মাসে রোযা রাখা বন্ধ ও মসজিদে নামায পড়াও বন্ধ করে দেন। তাকে বাগানের লোকজন জিজ্ঞেস করলে জানায়, সে আবারও হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে। তাকে নিয়ে বাগানের হিন্দু ও মুসলমান কমিউনিটিতেও বিভেদ সৃষ্টি হয়। দেখা দেয় উত্তেজনা। বাগান ব্যবস্থাপক বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন। তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে আপাতত উত্তেজনা অবসান করেন।
কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের মেম্বার ও ঝিমাই চা বাগানের বাসিন্দা জমির আলী জানান, বুধবার বাগানে এই ঘটনা নিয়ে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে বিতর্কিত ওই কর্মকর্তাকে বাগান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য হিন্দু ও মুসলমান সমাজ ঐক্যমত। পরে বাগান ম্যানেজারের হস্তক্ষেপে তাকে সরিয়ে দেয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে ওই কর্মকর্তা বাগানে ফেরৎ আসলে আবারও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। ফলে তাকে স্থায়ীভাবে বাগান থেকে অপসারণের দাবি সবার।
এব্যাপারে বাগান ব্যবস্থাপক মো: মনিরুজ্জামান জানান, বিষয়টি নিয়ে বাগানে উত্তেজনা দেখা দিলে আমি তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। বেশ কিছুদিন থেকে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বাগানে হিন্দু মুসলমানরা মিলে মিশে থাকে। কারো ব্যক্তিগত সমস্যার দায়ভার আমি কিংবা কোম্পানী নেবে না। আমি তাকে বিষয়টি সমাধান করে বাগানে যোগদান করতে বলেছি। বাগানের হিন্দু মুসলিম কেউই তাকে মেনে নিতে পারছে না।
এব্যাপারে নও মুসলিম আব্দুর রহমান (সুমন কুমার ভর) এর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।##
Leave a Reply