মাধবপুরে গরুর গা থেকে খসে পড়ছে মাংশ মাধবপুরে গরুর গা থেকে খসে পড়ছে মাংশ – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

মাধবপুরে গরুর গা থেকে খসে পড়ছে মাংশ

  • বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০

এইবেলা, মাধবপুর ::

হবিগঞ্জের মাধবপুরে গবাদিপশুর মধ্যে নতুন ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই ভাইরাসে আক্রান্ত গরুর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গুটি হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে গরুর শরীরের তাপমাত্রা (জ্বর) বেড়ে যায়। একপর্যায়ে ক্ষতগুলো পচে গরুর শরীর থেকে মাংস খসে পড়ে।

বুধবার সকালে চৌমুহনী ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের খামারী শাকিল মিয়া এবং কমলপুর গ্রামের মইন উদ্দিন জানান, প্রথমে গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গুটি হয়। এর সঙ্গে গরুর শরীরের তাপমাত্রা (জ্বর) বেড়ে যায়। এতে আক্রান্ত গরুগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দু-তিন দিনের মধ্যে গুটিগুলো ফেঁটে পানি ঝরে। একপর্যায়ে ক্ষতগুলো পঁচে গরুর শরীর থেকে মাংস খসে পড়ে। এ সময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই গরুর শরীরে এই ভাইরাস দেখা দিয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশেও এই ভাইরাস ঢুকেছে। এই ভাইরাসটি লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নামে পরিচিত। এক মাসে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে এই রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে অনেকগুলো গরুকে।

ওই দফতরের ভেটেরিনারি শাখা থেকে জানা যায়, মাধবপুরে গরুর শরীরে এই ভাইরাসটি দেখা দিয়েছে। সঠিক কোনো প্রতিষেধক বের হয়নি। মশা ও মাছির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে উপজেলায় একটি গরু মারা যাওয়ার সংবাদ আমরা এ পর্যন্ত পেয়েছি। চিকিৎসায় ভাইরাস আক্রান্ত গরু ভালো হচ্ছে। আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।

চৌমুহনী ইউনিয়নের আলাবক্সপুর গ্রামের মুক্তা শাহর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, আঙিনায় একটি গাভীর সামনের বাঁ পায়ের কিছু অংশজুড়ে ক্ষত হয়ে মাংস খসে পড়ছে। সেখান থেকে ঝরে পড়ছে পানি। এই ক্ষতস্থান থেকে দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে।

মুক্তা শাহ বলেন, তার চারটি গরুর মধ্যে দুটি গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত গরুগুলোর চিকিৎসায় তার ব্যয় হয়েছে অনেক টাকা।

চৌমুহনী ইউনিয়নের তুলশিপুর এলাকার পল্লী পশু চিকিৎসক নাজমুল হাসান আরও বলেন, গরুগুলোর শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ক্ষত স্থান শুকানো, গরুর শরীরের চামড়া চর্মরোগ থেকে রক্ষায় তিনি অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিহিস্টামিন–জাতীয় ইনজেকশন দিচ্ছেন। এতে গরুর ক্ষতস্থান সেরে উঠছে।

এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মজিবুর রহমান বলেন, এই ভাইরাস নিয়ে কৃষকের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসায় অনেক গরুই সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে কৃষকদের গরু রাখার গোয়ালঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে তিনি পরামর্শ দেন।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews