বাক্ স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম : প্রবণতা ও করণীয় শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন বাক্ স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম : প্রবণতা ও করণীয় শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের উন্নয়নে জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই- জেলা প্রশাসক কমলগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান কমলগঞ্জে বিদেশি সিগারেটসহ গ্রেফতার-২ মাধবপুরে শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা বড়লেখার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন : ৫ পদে লড়লেন ১৫ প্রার্থী বড়লেখায় রেলওয়ের লীজ গ্রহীতার ভূমি জবর দখল ও দোকান ঘর নির্মাণের অপচেষ্টা হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে পালাক্রমে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী “কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী আনজুম হত্যাকান্ড” প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে খুন করে ঘাতক জুনেল প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ায় আনজুমকে হত্যা, ঘাতক জুনেল গ্রেপ্তার বড়লেখায় আখড়ায় চুরি : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনায় সর্বদলীয় প্রতিবাদ সভা

বাক্ স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম : প্রবণতা ও করণীয় শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন

  • মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

এইবেলা ডেস্ক ::

মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা বাক্স্বাধীনতা একটি দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্যই হলো সেখানে মত প্রকাশের অধিকার থাকবে এবং স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রকাশের অধিকারও সুনিশ্চিত থাকবে। কোনো মতামতে কারও ব্যক্তিগত অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। তিনি সংক্ষুব্ধ হতে পারেন। কিন্তু কারও মনে আঘাত লাগবে বলেই সে সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে বা লিখতে পারবে না, তা আমাদের বা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধানই বলে না।

ঢাকার ডেইলি স্টার সেন্টারে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত “বাক্স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম: প্রবণতা ও করণীয়” শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সমষ্টি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিক, শিক্ষক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের ৪০জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সাংবাদিকদের উপর চাপ আছে। কখনো সেটা কর্পোরেট, কখনো বিজ্ঞাপন বা প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে এরকম চাপ আসে। কিন্তু এর বাইরেও আরো এক ধরনের চাপ আছে, যেটা অনেক সময় সাংবাদিকদের সেলফ-সেন্সরশিপে বাধ্য করে।

অনুষ্ঠানে সমষ্টি পরিচালিত গবেষণায় তথ্য তুলে ধরে জানানো হয়, সারা দেশের ১০৮টি ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পাঁচজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি ৮৮ জন সাংবাদিক আক্রমণের শিকার হন, ১৮ জন হুমকি পান, ১০ জন নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। এছাড়া সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ভাঙচুর করা হয়। প্রভাবশালী, স্বার্থন্বেষী মহল, রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী ইত্যাদি পক্ষ এধরনের হামলাসহ হয়রানিমূলক তৎপরতার সঙ্গে জড়িত। এসব বিষয়ে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজরসহ সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রায়ই ক্ষমতাধর ব্যক্তিকে সমালোচনা করার দায়ে মানহানির মামলা হয়ে থাকে। তাতে অভিযুক্তের হয়রানির শেষ নেই। দিনের পর দিন আদালতে ঘুরতে হয়। এক পর্যায়ে গিয়ে একটা মীমাংসা হয় বটে, কিন্তু বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষেরই অর্থ ও শ্রমের অপচয় হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভুইয়ার সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমষ্টি’র পরিচালক ও চ্যানেল আই-এর সিনিয়র বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান। গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন সমষ্টির’র কর্মসূচি পরিচালক মীর সাহিদুল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, অপরাজেয় বাংলার সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি শারমিন রিনভী, সিনিয়র সাংবাদিক শুচি সৈয়দ, মীর মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন হায়দার, গোলাম শাহানী ও অন্যান্য।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews