এইবেলা, মাধবপুর :::
হবিগঞ্জের মাধবপুরে টমেটোর বাজারে ধস নেমেছে। বিক্রি করতে না পারায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে শত শত মণ টেমেটো।
বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিক্রি করতে না পেরে নদীতে ও রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন বহু কষ্টে উৎপাদিত টমেটো। এখন ২ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে না টমেটো।
জমি থেকে উত্তোলন মজুরিও উঠছে না এখন টমেটো বিক্রি করে। এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়। অন্য বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন হয়েছে।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক বদু মিয়া জানান, উপজেলার দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা টেমেটোসহ সবজি চাষের খ্যাতি রয়েছে। বাণিজ্যকভাবে এখানে সবজি চাষ হয়। এর মধ্যে টমেটো অন্যতম।
পাইকাররা চৌমুহনী বাজার থেকে টমেটো ক্রয় করে নিয়ে যান। মৌসুমের প্রথম দিকে কৃষকরা ভালো দাম পেলেও শেষ দিকে বাজারে প্রচুর টমেটোর আমদানি হওয়ায় ও চাহিদা কম থাকায় টমেটোর বাজারে ধস নেমেছে।
শাহজালালপুর গ্রামের কাজী স্বপন মিয়া জানান, এ বছর তিনি এক লাখ টাকা খরচ করে এক একর জমিতে টমেটো আবাদ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে দামও ভালো পেয়েছেন। এখন ক্ষেতে পাঁকা টমেটো ভরপুর কিন্তু বাজারদর নিয়ে তিনি হতাশ।
চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান আপন মিয়া বলেন, এলাকার টমেটোর গুণগত মান ভালো। বাণিজ্যেক ভিত্তিতে এখানে টমেটোসহ নানা জাতের সবজি উৎপাদন হয়। কিন্তু এগুলো সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছরই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত টমেটোর ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ফরিদ মিয়া বলেন, গত বছর টমেটো চাষ করে লোকসানে পড়তে হয়েছিল রোগ-বালাইয়ের কারণে। আর এবারে দাম না পেয়ে লোকসানে পড়তে হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা টমেটোর আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।
কৃষকদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে এ অঞ্চলে দ্রুত সরকারিভাবে হিমাগার নির্মাণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান বলেন, কৃষকদের পাশে থেকে কৃষি বিভাগ সবসময় পরামর্শ দিয়েছে, তাই এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে টমেটোর।
Leave a Reply