লক্ষ্মীপুরে ইটভাটার শ্রমিক এখন ডাক্তার  : মৃত্যুশয্যায় শিশু লক্ষ্মীপুরে ইটভাটার শ্রমিক এখন ডাক্তার  : মৃত্যুশয্যায় শিশু – এইবেলা
  1. admin@eibela.net : admin :
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বড়লেখায় তৃতীয় বারের মত জামায়াতের আমীর এমাদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম ১১ দফা দাবীতে ডিএমএফ ও ম্যাটস্ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নিটারে রাত পোহালেই হলফেস্ট চলছে প্রস্তুতি কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত কুলাউড়া জাতীয়তাবাদী পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি খোকন সম্পাদক সাহাব উদ্দিন কুলাউড়ায় জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমুলক ওয়ার্কশপ জুড়ী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা সম্পন্ন বড়লেখায় যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল রিমান্ডে জুড়ী বশিরউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়- মামলার তথ্য গোপন করে প্রধান শিক্ষকের এমপিও ভূক্তির আবেদন! কুলাউড়ায় প্রবাসীর বসতঘরে বিদ্যুতের মিটার খুলে নিলো পল্লীবিদ্যুৎ

লক্ষ্মীপুরে ইটভাটার শ্রমিক এখন ডাক্তার  : মৃত্যুশয্যায় শিশু

  • রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১

অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর:: সন্ধ্যার পর স্থানীয় বাজারে টিভি দেখতে যাওয়ায় ফার্মেসি মালিক জোর করে সাইমন নামের ১২ বছরের এক শিশুকে জোর করে ওষুধ খাইয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই শিশুটির শরীরে পানি জমে ফুলে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন পার করছে শিশুটির পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে।

প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল ইসলাম নামের আরেক শিশু জানিয়েছে প্রতিদিনকার মত কাজ শেষে সন্ধ্যার পরে নাসিরের ওষুধের দোকানে টিভি দেখতে যায় তারা। নাসির সাদা বোতল থেকে ঔষধ পানিতে মিশ্রন করে সাইমনকে জোর করে খাওয়ায়। ভয়ে প্রথমে বাড়িতে এসে কিছু না বললেও পরদিন সকাল হতে শিশুটি তার কলিজা ব্যথা শুরু করেছে বলে বাবা মাকে জানায়। দুপুরের দিকে সাইমনের সারা শরীর ফুলে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহিন উদ্দিন দেখতে আসেন। ঘটনাটি নাসিরকে অবগত করলেও সে পাত্তা দেয়নি।

নাসির দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ইটভাটার মাটি কাটার শ্রমিক ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। নাসির নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিলেও কোনো কাগজপত্র, অভিজ্ঞতা সনদ এমনকি শিক্ষা সনদও দেখাতে পারেননি। তবে স্থানীয় মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন বলে জানান।

সালিশদার আলী হায়দার বলেন- ‘নাসির কিসের ডাক্তার? পড়ালেখা নাই, ব্রীক ফিল্ডের মাটির লেবার ছিল সে, কিভাবে ঔষধ বেছে ও রোগী দেখে আমাদের মাথায় ধরে না।’

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মহিন উদ্দিন বলেন-‘নাসির আমার কাছে ঘটনাটি স্বীকার করেছে, তবে মীমাংসার জন্য ডেকেছি পাত্তা দেয়নি।’

জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল গফফার বলেন-‘ অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২২ - ২০২৪
Theme Customized By BreakingNews